রোববার রাতে দপদপিয়া জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন একটি পেট্রোল পাম্পের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত আল-আমিন স্থানীয় দপদপিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের যুবদলের সভাপতি।
নিহত রুম্মন মুন্সি (২২) ওই এলাকার আব্দুস ছত্তার মুন্সির ছেলে। তিনি দপদপিয়া সেতুতে টোল আদায়ের কাজ করতেন।
নিহতের স্বজনরা জানান, বিকেলে দপদপিয়া জিরো পয়েন্ট এলাকায় রুম্মনের চাচাত ভাই আকিব ও মুন্নার সঙ্গে আল-আমিনের আত্মীয় জিহাদ এবং রিয়াদের সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়। ঘটনাস্থলে গেলে রুম্মনের সঙ্গে জিহাদ ও রিয়াদের ধাক্কাধাক্কি হয়। বিষয়টি যুবদলের নেতা আল-আমিনকে জানান জিহাদ ও রিয়াদ।
তাদের অভিযোগ, এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ধ্যার পর ধারালো অস্ত্র নিয়ে আল-আমিনের নেতৃত্বে তার সহযোগী আলমগীর, রানা, মনির, জিহাদ রিয়াদসহ কয়েকজন জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন একটি পেট্রোল পাম্পের পাশে অপেক্ষা করতে থাকেন। ওই পথ দিয়ে টোল প্লাজায় যাওয়ার সময় রুম্মনের ওপর তারা হামলা করেন। তারা রুম্মনের ঘাড় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে সড়কে পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যান।
স্থানীয়রা রুম্মনকে উদ্ধার করে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নলছিটি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল হালিম জানান, রুম্মন নিহতের ঘটনায় তার স্বজনরা দপদপিয়া ইউনিয়নের যুবদল নেতা আল-আমিন ও তার সহযোগীদের দায়ী করছেন। তাদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি আল-আমিন ও তার সহযোগীদের ধরতে পুলিশের একাধিক দল ওই এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে।
-এমএ