প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে স্কুল শিক্ষার্থীরা। তারা যেন নতুন বইটা পায়, নতুন বইয়ে নিজের নামটা লিখতে পারে, নতুন বইয়ের মলাট ওল্টানোর আনন্দটা পায়, সেই চেষ্টা আমরা করেছি।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২০২১ শিক্ষাবর্ষের বই বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি বেশ কিছু শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেন।
বই বিতরণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩শ জন শিক্ষার্থী ও সেসব স্কুলের একাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের চেষ্টা ছিল যেকোনো পরিস্থিতিতেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছি। তারা যাতে কোন ভাবে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত না হয় সে বিষয়টাকে আমরা বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। পরবর্তীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে সে সিদ্ধান্ত থেকে আমরা পিছিয়ে এসেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘরে বসে পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বইও পড়তে হবে শিক্ষার্থীদের। করোনার সুযোগে ঘরে থাকা ছেলে-মেয়েদের সময় দিতে হবে বাবা-মাকে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনায় অর্থনৈতিক চাপ থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা বিতরণ চলমান রেখেছে সরকার।’
তিনি বলেন, ‘কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা আরও আধুনিক করতে চায় সরকার। সরকার আইসিটি শিক্ষা ও সর্বোপরি শিক্ষারও মান বাড়াতে চায়।’
স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধাপে ধাপে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে যারা বই বিতরণের এই কাজটি সফল ভাবে করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, দুই মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আফছারুল আমীন ও মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
-এমএ