আশুলিয়ায় ফুটপাতে জমে উঠেছে শীতের পিঠা বিক্রি
Published : Saturday, 19 December, 2020 at 7:55 PM Count : 486
সারাদেশে ঝেকে বসেছে শীত। এই শীতে বাড়তি আনন্দ নিতে এবং জৈবিক চাহিদা পূরণে মুখরোচক বিভিন্ন পিঠায় অভ্যস্থ বাঙালী। আর সেই স্বাদ নিতে বাসা বাড়লড়িতে যেমন বাহারি রকমের পিঠা তৈরি করা হয় তেমন এখন শীত আসলেই ফুটপাত সহ বিভিন্ন এলাকার অলিতে গলিতে বসে পিঠা বিক্রির দোকান। আর তারই ধারাবাহিকতায় সারাদেশের বিভিন্ন এলাকার মত আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় শীতের শুরুতে শুরু হয় পিঠা বিক্রির ধুম।
সরেজমিনে আশুলিয়ার জিরানী বাজার, গোহাইলবাড়ি, কলেজপাড়, কোনাপাড়া, কবিরপুর, বাড়ইপাড়া, বলিভদ্র বাজার, জামগড়া, কাঠগড়া, জিরাব, মেশিনপাড়, আশুলিয়া বাজার সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ফুটপাতে ও বিভিন্ন অলিগলিতে বসেছে পিঠা বিক্রির দোকান। এসব দোকানে নেশি পাওয়া যায় চিতই ও ভাপা পিঠা। তবে কোন কোন দোকানে আবার তেলের পিঠাও পাওয়া যায়। পিঠা বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পিঠা বিক্রি তাদের সিজনাল ব্যবসা। তবে অনেকেই আবার সারা বছর বিক্রি করে থাকেন। প্রতিদিন দুপুর থেকে বিক্রি শুরু হলেও সন্ধ্যার পর থেকেই বিক্রি বেড়ে যায়। সন্ধ্যার পর পরই ভাপা ও চিতই পিঠা বিক্রির দোকান গুলোতে পিঠার স্বাদ নিতে ভিড় করেন বিভিন্ন বয়সের নানা শ্রেনী পেশার মানুষ। পিঠা খাওয়ার জন্য রাখা হয়েছে ধনে পাতার ভর্তা, শুটকি ভর্তা, শরিষা বাটা সহ নানা প্রকারের সুসাধু ভর্তা। অনেকে আবার চিতই পিঠার উপর বিশেষভাবে ডিম দিয়ে বানানো হয়। সেটা বিক্রি হয় বেশ।
অধিকাংশ পিঠা বিক্রেতারাই নিম্নবিত্ত পরিবারের পুরুষ, মহিলা ও তাদের ছেলে-মেয়েরা। তবে বৈশ্বিক মহামারি করোনা কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর বেচাবিক্রি কিছুটা কম বলেও জানান অনেকে।
পিঠা বিক্রেতারা আরো জানান, সারাদিন অন্য কাজ শেষ করে বাড়তি আয়ের জন্য বিকেলে বেছে নিয়েছেন পিঠা বিক্রি। চালের গুড়ো ও খেজুরের পাটালি গুড় দিয়ে তৈরী করা হয় ভাপা পিঠা। পিঠা সুস্বাদু করার জন্য ব্যবহার করা হয় নারকেল। প্রতিটি পিঠা ১০ টাকা পিচ দামে বিক্রি করা হয়। প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫কেজি পরিমান চালের গুরো দিয়ে পিঠা বিক্রি হয়।
আশুলিয়ার মেশিনপাড় এলাকায় ফুটপাতে দাদাকে সাথে নিয়ে পিঠা খেতে এসেছে সাত বছরের শিশু আল নাফিউ জিহাদ। সে জানায় বাসায় এখনো পিঠা বানানো হয়নি। তাই দাদার সাথে ভাপা পিঠা খেতে এসেছি। ভাপা পিঠা খেতে তার খুব ভাল লাগে।
একই স্থানে পিঠা খেতে এসেছেন রবিউল ইসলাম রবি। তিনি জানান, এখানে অনেককেই পিঠা খেতে দেখা যায়। ব্যস্ততার কারণে বাড়িতে পিঠা খাওয়ার সময় হয়ে উঠে নাগ তাই এখানে এসে তারই স্বাদ নেওয়ার চেষ্টা মাত্র।
পিঠা খাওয়া শেষে অনেকে আবার তাদের ছেলে-মেয়েদের জন্য কিনে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
পিঠা বিক্রেতা আব্দুল্লাহ জানান,শীত আসতেই দোকানে কাজের চাপ বেড়ে যায়। পিঠা বানানো থেকে শুরু করে সবকিছুই করতে হয় তাকে। ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে ব্যাস্ত সময় পার করতে হয়। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে পিঠা বানানো ও বিক্রি। তবে এবার মহামারি করোনার কারণে এবার অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেচাবিক্রি তুলনামূলকভাবে একটু কম।
এআই/এইচএস