মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী সহ যে প্রক্রিয়ায় আড়াই লাখ প্রবাসী বৈধকরণ করা হবে |
![]() গতকাল শুক্রবার কুয়ালালামপুরে সংবাদ সম্মেলনে দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতোক সেরী খাইরুল দাযামি দাউদ বলেন, আমরা আশা প্রকাশ করছি এবারের বৈধকরন রিকলিব্রেশন প্রক্রিয়ায় দুই থেকে আাড়াই লাখ শ্রমিক বৈধ করতে পারবো। দেশে বর্তমানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অবৈধ শ্রমিক হ্রাস করাই সরকারের মূল উদ্দেশ্য। বৈধকরণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে খায়রুল দাজামি বিস্তারিত বলেন, এবার রিকলিব্রেশন ঘোষণার পর ইতিমধ্যেই ৪৭৮ নিয়োগদাতা কোম্পানির কাছ থেকে দুই হাজার আবেদন পেয়েছি। এটা অবিরাম চলবে ৬ মাস পর্যন্ত। এমন কি নিয়োগদাতারা চাইলে কারাবন্দী শ্রমিকদের শর্ত সাপেক্ষে বৈধকরণ করতে পারেন। এখানে সরাসরি অনলাইনে www.mi.gov.my আবেদন গ্রহন করা হচ্ছে। কোন এজেন্ট বা দালাল নিয়োগ করা হয়নি। মালিকগন সরাসরি তাদের শ্রমিকদের নিয়োগ দিবেন। এখানে কোন ৩য় পক্ষ নেই। তবে নিয়োগদাতারা কতজন শ্রমিক তাদের কোম্পানি তে নিয়োগ দিতে পারবেন তা শ্রম মন্ত্রনালয় থেকে অনুমোদন নিতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, আবেদন গৃহীত হওয়ার পর প্রথমে কর্মী নির্বাচন করে তাদের নির্ধারিত মেডিকেল সেন্টারে স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। তারপর নিয়োগকর্তা গন ভিসার জন্য চুড়ান্ত আবেদন করতে পারবেন। এসময় যে সমস্ত ফি পরিশোধ করতে হবে তা হচ্ছে জনপ্রতি, রিকলিব্রেশন ফি ১৫ শত রিংগিত, লেভী কনস্ট্রাকশন ও ম্যানুফ্যাকচারিং এর জন্য ১৮৫০ রিংগিত, বৃক্ষরোপণ ও কৃষি খাতের জন্য ৬৪০ রিংগিত, পাস ফি ৬০ রিংগিত, ভিসা প্রসেসিং ফি ১২৫ রিংগিত এবং ৫ রিংগিত, জাতিভেদে আরো ২০ মালয়েশিয়ান রিংগিত পরিশোধ করতে হবে। যদি কোন শ্রমিক এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হন তাহলে তাকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এক্ষেত্রে তাদের দেশে ফেরত যাওয়ার বিমান টিকিট সহ ৫০০ রিংগিত জরিমানা দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, ১৫ দেশের দূতাবাস প্রধানদের সাথে যোগাযোগ করেছি তারা আমাদের এই রিকলিব্রেশন প্রকল্প কে আন্তরিক ভাবে স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের পক্ষ থেকে এবিষয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সহযোগিতা করার কথা ব্যক্ত করেছেন। এই শ্রমিক বৈধকরণ রিকলিব্রেশন কার্যক্রম টি ১২ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে আগামী ২০২১ সনের ২০শে জুন পর্যন্ত বিরতিহীন চলবে। এসআর |