কুড়িয়ে পাওয়া স্বর্ণ মালিককে ফেরত দিল আনসার সদস্য |
![]() গত বুধবার (২ডিসেম্বর) উপজেলার পেকুয়া বাজারের ইউনিয়ন পরিষদ রোডে রেস্টুরেন্টের সামনে রাস্তায় পরিত্যক্ত অবস্তায় কুড়িয়ে পায় গণ-প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ আনসার বাহিনীর-(৩৭) সদস্য ও পেকুয়া থানায় কর্মরত রিকুল ইসলাম। কুড়িয়ে পাওয়া স্বর্ণের মালিক সদর ইউনিয়নের পূর্ব-বাইম্যাখালী এলাকার মহিউদ্দিন মেস্ত্রীর। প্রতিদিনের ন্যায় পেকুয়া বাজারের যানজট নিরসনের জন্য দায়িত্ব পালন করছিল মোঃ রিকুল ইসলাম। দুপুর ২টার দিকে পেকুয়া সদরের পূর্ব বাইম্যাখালী মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে সিএনজি চালক দিদার দায়িত্বরত আনসার সদস্যকে নাস্তা খাওয়াতে রেস্টুরেন্টে নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় শপিংব্যাগ মোড়ানো পুটলিটা চোখে পড়ে রিকুল ইসলামের। তখন সিএনজি চালক দিদারকে পুটলিটা তুলে নিতে বলেন। পুটলিটা খুলে দেখে ১টি স্বর্ণের হার ও একজোড়া কানের ফুল। সাথে সাথে স্বর্ণগুলো নিজ পকেটে গচ্ছিত রেখে পেকুয়া থানার ওসি'কে মুঠোফোনে অবহিত করেন। পরে ওসি সাইফুর রহমান মজুমদারের পরামর্শে বিভিন্নভাবে সংবাদ প্রচার করে প্রকৃত মালিক মহিউদ্দিন মিস্ত্রীর হাতে তুলে দেন। হারানো স্বর্ণ ফিরে পেয়ে মহিউদ্দিন মিস্ত্রী আবেগতাড়িত হয়ে বলেন, সংসারের বিশেষ প্রয়োজনে জুয়েলারী দোকানে বন্ধক দিতে পেকুয়া বাজারে আসছিলাম। পথিমধ্যে কখন যে স্বর্ণ পড়ে গেছে বুঝে উঠতে পারিনি। পরে বহু খোঁজাখুজির পর হতাশ হয়ে বাড়িতে চলে গিয়েছিলাম। এরপর চৌকিদার ফরিদের মারফত খবর পাই কিছু স্বর্ণ পেকুয়া থানার আনসার রিকুল ইসলামের কাছে গচ্ছিত আছে। সে আমার কাছ থেকে স্বর্ণের বর্ণনা শুনে আমাকে ফেরত দেয়। স্বর্ণগুলো পেয়ে আমি কিছু টাকা দিতে ছেয়েছিলাম তা না নিয়ে শুধু দোয়া করার জন্য বলেন। এ পৃথিবীতে এখনো ভাল মানুষেরা আছেন। আর ভাল মানুষেরা আছে বলেই দুনিয়া এখনো বলবৎ আছে। আমি মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানানোর পাশাপাশি আনসার সদস্য রিকুল ইসলাম ও পেকুয়া থানার ওসি স্যারকে অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এবং আল্লাহ তাদেরকে ও পরিবারকে সদাসর্বদা নিরাপদে রাখেন এ দোয়া করি। বিশেষ আনসার বাহিনীর (৩৭) সদস্য মোঃ রিকুল ইসলাম জানান, প্রতিদিনের মত দায়িত্ব পালনের এক ফাঁকে শুভাকাঙ্খী সিএনজি চালক দিদারের অনুরোধে নাস্তা খেতে পরিষদ রোডের রেস্টুরেন্টে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে শপিংব্যাগ মোড়ানো একটি পুটলি চোখে পড়ে। এসময় দিদারকে পুটলিটা তুলে নিতে বলি। পুটলিটা খুলে দেখি স্বর্ণের হার ও কানের ফুল। তাৎক্ষণিক আমি ওসি সাইফুর রহমান স্যারকে মুঠেফোনে অবহিত করি। ওসি স্যারের পরামর্শে বিভিন্নভাবে সংবাদ দিয়ে এবং পেকুয়ার কর্মরত সাংবাদিক জালাল উদ্দিনের সহযোগিতায় প্রকৃত মালিক মহিউদ্দিন মেস্ত্রীর হাতে তুলে দিতে পেরেছি বলে নিজেকে বড়ই ভাগ্যবান মনে করছি। পরিশেষে কুরিয়ে পাওয়া স্বর্ণ ফেরতদানে সুপরামর্শ ও সহযোগিতা করায় মাননীয় ওসি মহোদয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। পেকুয়া থানার নবাগত ওসি সাইফুর রহামান মজুমদার বলেন, আমি ঐদিন কনফারেন্সের কারণে থানায় না থাকার দরুণ আনসার সদস্য রিকুল ইসলাম মুঠোফোনে কিছু স্বর্ণ কুড়িয়ে পেয়েছে বলে জানান। এরপর আমি স্বর্ণগুলি প্রকৃত মালিক খোঁজে বের করতে পরামর্শ দেই। এর কিছু সময় পর প্রকৃত মালিকের সন্ধান পেয়ে তাকে স্বর্ণগুলো বুঝিয়ে দেন। এনইউ/এসআর |