বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে দেশের মানুষ তা প্রতিহত করবে |
![]() শুক্রবার সকালে সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরইএ) দুই দিন ব্যাপী বার্ষিক রিসার্চ রিভিউ কর্মশালার উদ্বোধন শেষে তিনি একথা বলেন। এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু হচ্ছে আমাদের আদর্শিক, চেতনার, বিশ্বাসের ও গবেষণার বিমুর্তা প্রতীক। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য থেকে আমরা অনুপ্রানিত হই, উৎসাহিত হই, তার আদর্শকে ধারনের কথা ভাবি। যখনই মানুষ বিপথগামী হয় তখন কিন্তু অস্তিত্বের উৎসের দিকে ফিরে যায়। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে যারা বিরোধ, সমালোচনা ও অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি সৃস্টি করতে চায় তারা মুক্তিযোদ্ধের চেতনা, বাংলাদেশের অস্তিত্ব এবং বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয়কেই বিতর্কিত করতে চায়। এর আগে কর্মশালায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী বলেন, কৃষিপ্রধান বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদ দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি। ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মানে প্রাণিসম্পদ খাত একটি অন্যতম স্তম্ভ হিসেবে ক্রিয়াশীল। এখানে মেধার সর্বোচ্চ প্রয়োগ ঘটিয়ে দেশের সীমিত সম্পদের যথাযথ ব্যবহার করে গবেষণা কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকার এর সভাপতিত্বে দুই দিন ব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অধিবেশনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ আবদুল জব্বার শিকদার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুবোল বোস মনি, শাহ মোঃ ইমদাদুল হক, ও মোঃ তৌফিকুল আরিফ প্রমুখ। সভাপতির বক্তব্যে ড. নাথু রাম সরকার বলেন, বিএলআরআই কর্তৃক উদ্ভাবিত প্রযুক্তিসমূহ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে হস্তান্তরের পরে তা মাঠ পর্যায়ে ব্যবহার হচ্ছে। আধুনিক খামার ব্যবস্থাপনায় করনীয় সম্পর্কে খামারীদের জন্য যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে বিএলআরআই। নানাবিধ সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে সময় উপযোগী প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের প্রাণিসম্পদকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বিএলআরআই বিজ্ঞানীদেরকে আহবান জনান। দুই দিন ব্যাপী এ কর্মশালায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকসহ ১৮০ জন বিজ্ঞানী অংশ গ্রহণ করেন। ওএফ/এইচএস |