‘ওই বাস আমার সব কেড়ে নিল’ |
![]() ‘আমার এখন আর কেউ রইলো না। ঘাতক বাস আমার সব কেড়ে নিয়েছে। এখন আমি কি নিয়ে বাঁচব, কাদের নিয়ে থাকবো’। সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী, একমাত্র সন্তান, পুত্রবধু, নাতিন, শ্বশুর ও ভাইপোকে হারিয়ে পাগলপ্রায় ঝর্না রানীর প্রলাপে ভারী হয়ে ওঠে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আকাশ বাতাস। শুক্রবার বেলা ৩ টার দিকে জেলার দৌলতপুরের চকমিরপুর ইউনিয়নের মুলকান্দি এলাকায় বাস ও সিএনজি সংঘর্ষে ঝর্না রানীর পরিবারের ৬জন সহ সিএনজির চালক নিহত হয়। নিহতরা হলেন, ঝর্নার রানীর স্বামী টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার চাষা ভাদ্রা গ্রামের হরেকৃষ্ণ বাদ্যকার (৫২), তার মা খুশি বাদ্যকার (৭০), ছেলে গোবিন্দ বাদ্যকার (৩০), গোবিন্দ বাদ্যকারের স্ত্রী ববিতা বাদ্যকার (২৫), মেয়ে রাধে বাদ্যকার (৩), ফুফাতো ভাই রাম প্রসাদ বাদ্যকার (৩০) এবং সিএনজি চালক দৌলতপুর উপজেলার সমেদপুর গ্রামের সদর উদ্দিনের সন্তান উজ্জ্বল হোসেন (৪০)। ঝর্না রানী জানান, তার নাতিন রাধে দুই তিন ধরে পাতলা পায়খানায় আক্রান্ত। নাতিনকে নিয়ে তার স্বামীসহ দুর্ঘটনায় নিহতরা ঘিওরের মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে মুলকান্দি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দৌলতপুরের চকমিরপুর ইউনিয়নের মূলকান্দি এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ভিলেজ লাইন (ঢাকা মেট্রো জ-১১-১৪৪৭) বাসটি টাঙ্গাইল থেকে আসা সিএনজি চালিত অটোরিকশার সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনা স্থলে একজন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর বাকিরা মারা যায়। শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানিয়া সুলতানা জানান, নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক বাসটিকে জব্দ করা হলেও এর চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে। এএল/এইচএস |