For English Version
শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
হোম

আসরে সর্বোচ্চ সংগ্রহ চট্টগ্রামের

Published : Wednesday, 2 December, 2020 at 8:44 PM Count : 559

সন্দেহাতীতভাবেই বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের সেরা উদ্বোধনী জুটি গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের। নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচেই পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি গড়ে তার প্রমাণ দিয়েছিলেন লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। মাঝে তৃতীয় ম্যাচে ব্যর্থ হলেও আজ (বুধবার) ফের জ্বলে উঠলেন এ দুই ড্যাশিং। যাদের আগুনে পুড়ল মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী।

লিটন ও সৌম্যর এনে দেয়া ঝড়ো সূচনার পর শেষদিকে মোসাদ্দেক সৈকতের ক্যামিও ইনিংস- এ তিনজনের ব্যাটে চড়েই আসরের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে চট্টগ্রাম। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে তারা করেছে ৫ উইকেটে ১৭৬ রান। লিটন খেলেছেন এবারের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ৭৮ রানের ইনিংস। শেষপর্যন্ত অপরাজিতই ছিলেন তিনি।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে আদর্শ সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। শেখ মেহেদি হাসানের করা ইনিংসের প্রথম ওভারে জোড়া চার দিয়ে শুরু করেন সৌম্য। পরের ওভারে এবাদত হোসেনকে বাউন্ডারিতে পাঠান আরও দুইবার। তৃতীয় ওভারে দায়িত্ব নেন লিটন। শেখ মেহেদিকে তিনিও মারে জোড়া বাউন্ডারি। তিন ওভারে চট্টগ্রামের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩০ রান।

চতুর্থ ওভারে প্রথমবারের মতো সুযোগ তৈরি করে রাজশাহী। ফরহাদ রেজার করা ওভারের প্রথম বলেই ফ্লিক করেন সৌম্য, যা চলে যায় মিডউইকেটে দাঁড়ানো রনি তালুকদারের হাতে। কিন্তু ক্যাচটি ধরলেও নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি রনি। বল হাতে নিয়েই ছুঁয়ে ফেলেন সীমানা দড়ি, প্রথম ছক্কা পায় চট্টগ্রাম। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে লিটনকে দেন সৌম্য। পরের তিন বলে টানা তিন বাউন্ডারি হাঁকান লিটন।

এ দুই ওপেনারের তাণ্ডবে মাত্র ২৬ বলেই দলীয় অর্ধশতক পূরণ করে ফেলে চট্টগ্রাম। তবে এরপরই থেমে আসে রানের চাকা। আরও একটি সুযোগ দেন সৌম্য। এবার বাউন্ডারিতে সেটি ধরলেও ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন ফজলে রাব্বি। তবে তার আগেই বলটি সীমানার ভেতরে ঠেলে দিতে সক্ষম হন তিনি। ফলে সে বলে আসে ১ রান। আরাফাত সানির করা সপ্তম ওভারের তৃতীয় বলে দারুণ এক স্লগ সুইপে ইনিংসের দ্বিতীয় ছক্কাটি হাঁকান সৌম্য।

পরের ওভারেই তাকে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন মুকিদুল মুগ্ধ। লংঅনে ডাইভিং এফোর্টে দারুণ এক ক্যাচ ধরেন আনিসুল ইসলাম ইমন। দলীয় ৬২ রানের সময় আউট হওয়ার আগে ২৫ বলে ৪ চার ও ২ ছয়ের মারে ৩৪ রান করেন সৌম্য। তার বিদায়ের পর ধীর হয়ে যায় চট্টগ্রামের ইনিংস। আনিসুল ইমনের করা নিজের প্রথম ও ইনিংসের ১১তম ওভারের তৃতীয় বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন (১২ বলে ১১)।

ফরহাদ রেজার করা পরে ওভারে ঠিক একইভাবে বোল্ড হয়ে যান ২ বলে ১ রান করা শামসুর রহমান শুভ। চট্টগ্রামের দলীয় সংগ্রহ তখন ৩ উইকেটে ৯৬ রান। দলের প্রথম ৫০ করতে মাত্র ২৬ বল লাগলেও, দ্বিতীয় পঞ্চাশ করতে তাদের প্রয়োজন হয় দ্বিগুণ অর্থাৎ ৫২টি বল। ইনিংসের ১৩ ওভার শেষে চট্টগ্রামের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ঠিক ১০০ রান। পরের সময়টুকু পুরোপুরি নিজেদের করে নেন লিটন দাস ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, গড়েন ৭২ রানের জুটি।

শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিং করতে থাকা লিটন দাস ব্যক্তিগত পঞ্চাশ পূরণ করেন ৩৫ বলে, সাতটি চারের মারে। অপরপ্রান্তে মোসাদ্দেকও খেলতে থাকেন হাত খুলে। এক্সট্রা কভার বাউন্ডারির ওপর দিয়ে হাঁকান নিজের প্রথম ছক্কা। পরে এবাদত হোসেন ওভারে সোজা পাঠান সীমানার বাইরে। এবাদতের করা ১৯তম ওভারে ১টি করে চার ও ছয়ের সঙ্গে ওয়াইড থেকে আসা চারে মোট ২১ রান পায় চট্টগ্রাম। পরে মুগ্ধর করা শেষ ওভারে আসে ১৫ রান।

যার সুবাদে চট্টগ্রামের ইনিংস পৌঁছায় ৫ উইকেটে ১৭৬ রানে। শেষপর্যন্ত লিটন অপরাজিত থাকেন ৯ চার ও ১ ছয়ের মারে ৫৩ বলে ৭৮ রান করে। শেষ ওভারের চতুর্থ বলে আউট হওয়ার আগে ২টি করে চার-ছয়ের মারে ২৮ বলে ৪২ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন মোসাদ্দেক।

রাজশাহীর পক্ষে বল হাতে একাই ৩ উইকেট নেন মুকিদুল মুগ্ধ। এছাড়া ফরহাদ রেজা ও আনিসুল ইমনের ঝুলিতে যায় একটি করে উইকেট।

এসআর

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,   [ABOUT US]     [CONTACT US]   [AD RATE]   Developed & Maintenance by i2soft