স্বীকারোক্তির পরেও প্রধান আসামীকে অব্যাহতি দিয়ে পুলিশের চার্জশিট |
![]() চাঞ্চল্যকর দলিল লেখক রেজাউল করীম রিয়াজ হত্যা মামলায় প্রধান আসামি নিহতের স্ত্রী আমিনা আক্তার লিজাকে অব্যাহতি দিয়ে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। বরিশালের আদালতে প্রধান আসামীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেওয়ার পরেও তাকে বাদ দেওয়া ‘রহস্যজনক’ বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী। তার অভিযোগ, প্রধান আসামিকে রক্ষা করতে মনগড়া চার্জশিট দিয়েছেন। সোমবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) কাউনিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. সগির হোসেন আমিনা আক্তার লিজাকে অব্যাহতি দিয়ে বরিশাল অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে চারজন সিদেল চোরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। নিহত রিয়াজের জ্যেষ্ঠ ভাই বাদী মনিরুল ইসলাম রিপন বলেন, আসামি লিজার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী থাকার পরেও তদন্ত কর্মকর্তা কেন তাকে অব্যাহতি দিলেন তা রহস্যজনক। আইও লিজার সহযোগী মাসুমকে গ্রেফতার করেইনি উল্টো তাকে বাদ দিয়ে হত্যার ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, তদন্তকালে আইওর রহস্যজনক আচরণের বিষয়টি আঁচ করতে পেরে গত ২৩ অক্টোবর অতিরিক্ত আদালতে না রাজি আবেদন দাখিল করে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) বদলীর আরজি জানিয়েছি। ওইদিন মহানগর হাকিম মো. মারুফ আহমেদ বাদীর আর্জির পরিপ্রেক্ষিতে ১১ নভেম্বর মামলার সকল নথি নিয়ে আইও মো. সগির হোসেনকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু ধার্য দিনে আইও করোনার অজুহাতে গরহাজির থাকেন। এর মধ্যে তিনি তড়িঘড়ি করে চার্জশিট জমা দিয়েছেন। বাদী মনিরুল ইসলাম রিপন বলেন, এটি একটি নৃশংস হত্যা মামলা। আইনের শাসন নিশ্চিত করতে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু আইও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চার্জশিট দিয়ে সুষ্ঠু বিচারকে ব্যাহত করছেন। আমি সুষ্ঠু ও সঠিক তদন্ত চাই। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের আইজির হস্তক্ষেপ কামনা করছি। মামলার আইও মো. সগির হোসেন এ প্রসঙ্গে ডেইলি অবজারভারকে বলেন, তদন্তে আসামি লিজার সংশ্লিষ্টতা পাইনি বলে তাকে বাদ দিয়েছি। বাদীপক্ষ অসন্তুষ্ট হলে তারা আদালতে যেতে পারেন। আদালত বিষয়টি নির্ধারণ করবেন। ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল রাতে নিজ ঘরে নিহত রিয়াজ ও তার স্ত্রী লিজা পৃথকভাবে থাকা অবস্থায় রিয়াজকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর নিহত রিয়াজের স্ত্রী লিজাকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে আটক করে পুলিশ। এনআই/এইচএস |