সাতক্ষীরায় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলায় ৩ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন |
অতিঃএ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলায় মঙ্গলবার ২ সাংবাদিকসহ ৩জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। দিনভর সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. হুমায়ুন কবিরের আদালতে তারা স্বাক্ষ্য প্রদান করেন। এনটিভি/যুগান্তরের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি সুভাষ চৌধুরি, হাবিবুর রহমান ও ড্রাইভার শেখ নজিবুল্যার স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। তবে আজ আসামিপক্ষের আইনজীবি এড. আব্দুল মজিদ স্বাক্ষীদের জেরা করেছেন। এসময় রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর এড. আব্দুল লতিফকে আইনি সহযোগিতা করতে অতিরিক্ত এ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনিরসহ ৫ সদস্যের একটি দল ঢাকা থেকে এসে আদালতে উপস্থিত থেকে সহযোগিতা করেন। অতিরিক্ত এ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর জানান, স্বাক্ষীরা মামলার ১নং আসামি সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ অন্যদের নাম একাধিকবার আদালতে বলেছেন। আলোচিত এই মামলার আগামী ধার্যদিন ৯ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেছেন আদালত। উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ধর্ষিতা এক নারীকে দেখতে আসেন। তিনি ঢাকায় ফেরার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলারোয়া বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়ি বহরে হামলার অভিযোগ উঠে তৎকালিন সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দীন বাদী হয়ে উপজেলা যুবদলের সভাপতি আশরাফ হোসেনসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাত ৭০/৭৫ জনের নামে থানায় ব্যর্থ হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে এক যুগ পর ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর কলারোয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। এরপর ২০১৫ সালের ১৭ মে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাতক্ষীরা ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০ জনকে স্বাক্ষী করে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শেখ সফিকুর ইসলাম। সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণের পর ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আসামিপক্ষের আপীল আবেদনে মামলার কার্যক্রম স্থগিতের আদেশ দেন উচ্চতর আদালত। এরপর রাস্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে উচ্চতর আদালত চলতি বছরের ২২ অক্টোবর মামলাটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নথি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে নির্দেশ দেন। এরই অংশ হিসেবে বিচারিক আদালতে মামলার কার্যক্রম অব্যহত আছে। এমজেডআর/এইচএস |