ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ডিএনএ প্রতিবেদনে আসামিদের সংশ্লিষ্টতা মিলেছে
Published : Monday, 30 November, 2020 at 10:27 AM Count : 488
তবে ৮ আসামির ডিএনএ নমুনার মধ্যে পরীক্ষায় কতজনের নমুনায় সংশ্লিষ্টতা রয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।
রোববার রাত সোয়া ১০টার দিকে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ডিএনএ প্রতিবেদন শাহপরাণ (রহ.) থানার পরিদর্শক ও তদন্ত কর্মকর্তা ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্যের হাতে এসে পৌঁছেছে। এখন খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেয়া হবে।
আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, আলোচিত এ ঘটনার দুই মাস পেরিয়ে গেলেও ডিএনএ প্রতিবেদন না আসায় চার্জশিট দেয়া সম্ভব হয়নি। ডিএনএ প্রতিবেদন হাতে আসায় দ্রুত সময়ের মধ্যেই চার্জশিট দেয়া হবে এবং বিস্তারিত তথ্য সবাইকে জানানো হবে।
এর আগে গত ০১ অক্টোবর ও ০৩ অক্টোবর দুই দিনে এ মামলায় গ্রেফতার ৮ জনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারের ডিএনএ ল্যাবে নমুনা সংগ্রহের পর পাঠানো হয় ঢাকার ল্যাবে। সেখান থেকে নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন প্রথমে আদালতে এসে পৌঁছায়। পরবর্তীতে এ প্রতিবেদন রোববার তদন্ত কর্মকর্তার হাতে এসে পৌঁছেছে।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সন্ধ্যায় স্বামীর সঙ্গে এমসি কলেজে ঘুরতে গিয়েছিলেন এক তরুণী। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মহানগর ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী তাদের জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রবাসে নিয়ে যায়। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে তারা। রাত ১১টায় শাহপরাণ থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে ওইদিন রাতেই মহানগর পুলিশের শাহপরাণ (রহ.) থানায় নির্যাতিতা নারীর স্বামী বাদি হয়ে মামলা করেন। এ মামলায় আরও ২-৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
এছাড়া, ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ৪ আসামির ছাত্রত্ব এবং সনদ বাতিল করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। পাশাপাশি তাদের স্থায়ী ভাবে এমসি কলেজ থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। বহিষ্কৃতরা হলেন, সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাসুম ও রবিউল হাসান।
-এমএ