চা শ্রমিকদের ৭ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন
Published : Sunday, 29 November, 2020 at 4:15 PM Count : 445
রোববার বেলা ১১টায় শ্রীমঙ্গলের বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তর কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের আইনানুগ কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ।
মানববন্ধন শেষে শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সহ সভাপতি মরলী ধর গোয়ালা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরিমল সিং বাড়াইক, মহিলা সম্পাদিকা শ্যামলী বুনার্জি, সদস্য রঞ্জন চাষাসহ চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে চা শ্রমিকদের ‘৭ দফা’ দাবি উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ‘মহাপরিচালক, শ্রম অধিদপ্তর, শ্রম ভবন, ঢাকা বরাবরে পেশকৃত দ্বিতীয় শ্রম আদালতের আদেশ জরুরী ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা, আদেশ মোতাবেক ২০০৬ সালের ৩০ এপ্রিল ইউনিয়নের অনুমোদিত গঠনতন্ত্র ২০০১ মোতাবেক নির্বাচিত কমিটির নিকট ইউনিয়নের প্রধান কার্যালয় শ্রীমঙ্গলের লেবার হাউস জরুরী ভিত্তিতে সমজাইয়া দেওয়ার প্রয়োাজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা, ইউনিয়নের আগামী ৩০তম ত্রি-বার্ষিকী সাধারণ সভা ও নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য শ্রম আদালতের আদেশ মোতাবেক বিদ্যমান কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদকে সর্বতোভাবে সহযোগিতা প্রদান করা, ইউনিয়নের আভ্যন্তরীণ নির্বাচনে কোন রকম সরকারি অর্থায়ন না করা, বর্তমান বাজার দরের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে চা শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধিসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধাদি বর্ধিত করার লক্ষ্যে চট্টগ্রামস্থ দ্বিতীয় শ্রম আদালত কর্তৃক দেয়া আদেশের ধারাবাহিকতায় বিদ্যমান কমিটির প্রতিনিধিদের নিয়ে জরুরী ভিত্তিতে একটি “মজুরী বোর্ড” গঠন করা।
২০০৮-২০১৮ সময়কালের নির্বাচনের চা কোম্পানীর ম্যানেজমেন্ট, ব্যবস্থাপকগণ যাতে ভবিষ্যতে কোন চা বাগানের ওয়ার্কিং, ডিসমিসড ষ্টাফ যেমন- অতীতে রাম ভজন কৈরী- শিলুয়া, আলীনগর চা বাগান ও মাখন লাল কর্মকার ডিনষ্টোন চা বাগানের মতো শ্রমিক হাজিরা বহিতে নাম উঠিয়ে ও রাতারাতি প্রভিডেন্ট ফান্ডের সদস্য বানিয়ে ইউনিয়নের কোন নির্বাচনে যাতে কেউ অংশগ্রহণ করতে না পারে- তার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা; আজ থেকে ৭১ বছর পূর্বে চা শ্রমিকদের অনেক কষ্ট ও ত্যাগের বিনিময়ে দেশের প্রচলিত শ্রম আইনের অধীনে গড়ে উঠা ইউনিয়নের বারগেইনিং এজেন্ট হওয়ার নেতৃত্বকে চিরতরে ধ্বংস করে দেওয়ার পায়তারা শুরু হয় ২০০৫ সাল থেকে যা আজও অব্যাহত আছে। চা শ্রমিক ও চা শিল্পের স্বার্থে ইউনিয়নের হারিয়ে যাওয়া সেই নেতৃত্বের পুনঃপ্রতিষ্ঠা একান্তই জরুরী বিধায় সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকল মহলের আন্তরিক সহযোগিতা একান্ত ভাবে কাম্য। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ওপর ২০০৬ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ঘটে যাওয়া সকল বিষয়ের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা।
চা শিল্প ও চা শ্রমিকদের বৃহত্তর স্বার্থে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ৭ দফা দাবি বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে আমরা আশা করি ও বিশ্বাস রাখি। এ বিষয়ে আমরা চা শ্রমিক বান্ধব বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ একান্ত ভাবে কামনা করছি।
-আরএ/এমএ