ডেকে নিয়ে স্কুল শিক্ষার্থীকে হত্যা, আটক ২ |
![]() এঘটনায় পুলিশ স্থানীয় কাউন্সিলর হাফেজ আবু বকর সিদ্দিক দুলালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এবং অভিযুক্ত যুবরাজ ও রিয়াজ নামে দুজনকে আটক করেছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের মা রোকসানা বেগম নামিয় ৬ ও অজ্ঞাতনামা ৫ জনকে আসামি করে সোনাইমুড়ী থানায় একটি মামলা করেন। মামলা ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতে কাঠালী গ্রামের কাদির মাষ্টার বাড়ির জামাল হোসেনের ছেলে সুমন নিজ ঘরে কয়েকজন বন্ধুদের নিয়ে হাঁস পার্টি করেন। পার্টিতে মাদক সেবন সহ তাদের কিছু কর্মকান্ডের ভিডিও ধারণ করেন একই বাড়ির মীর হোসেনের স্কুল পড়ুয়া ছেলে সাহাদাত। ভিডিও ধারণের বিষয়টি টের পেয়ে সুমন তার বন্ধু রিয়াজের মাধ্যমে বুধবার সকাল নয়টার দিকে সাহাদাতকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও সাহাদাত ফিরে না আসায় তার মা বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানান। সন্ধ্যায় সুমন তার কয়েকজন বন্ধুদের নিয়ে বাড়িতে এসে সাহাদাত কে ডেকে নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করলে পার্শ্ববর্তী নাওতলা গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে প্রভাব খাটিয়ে সুমন ও তার বন্ধুদের নিয়ে যান। পরেরদিন সুমনের বন্ধু রিয়াজ ওই বাড়ির আলী হোসেনের মুঠোফোনে কল দিয়ে সাহাদাতকে ঘরের আশপাশে খোঁজ করতে বলেন। তার ভাষ্যমতে ঘরের পিছনের একটি পুকুরের মধ্যে থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের মামা দীন মোহাম্মদ জানান, নিখোঁজের দিন সন্ধ্যায় গ্রামবাসী সুমন ও তার বন্ধুদের আটক করে, এসময় পার্শ্ববর্তী নাওতলা গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে তানভীর এর নেতৃত্বে একদল লোক এসে সুমনকে নিয়ে যায়। তিনি জানান এ হত্যার সাথে মাদক ব্যবসায়ী তানভীর জড়িত রয়েছে। নিহতের মা রোকসানা বেগম জানান, মাদকসেবনকারী সুমন ও তার বন্ধুরা তার ছেলেকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। তিনি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ গিয়াস উদ্দিন জানান, নিহতের মা বাদী হয়ে নামিও ৬ ও অজ্ঞাত নামা ৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা করেছে। অভিযুক্ত দুজনকে আটক করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এমআইএফ/এসআর |