চিকিৎসক স্ত্রীর মামলায় স্বামী কারাগারে |
![]() যৌতুকের দাবিতে চিকিৎসক স্ত্রীকে মারধরের মামলায় চিকিৎসক স্বামী অলোক কুমার মন্ডলকে কারাগারে পাঠিয়েছেন ঢাকার মহানগর হাকিম আদালত। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা এই মামলায় মঙ্গলবার ভোরে ডা. অলোককে খুলনা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় আনা হয়। বুধবার খুলনার শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের চিকিৎসক অলোক কুমার মন্ডলের (৪৭) জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়। মহানগর হাকিম জসীম উদ্দিন এই আদেশ দেন। যদিও জামিন আবেদনের উপর বৃহস্পতিবার অধিকতর শুনানির দিন ধার্য করা হয়। গণমাধ্যমকে বাদীর আইনজীবী মো. নূর উদ্দিন হাসান জানান এই চিকিৎসকের স্ত্রীও চিকিৎসক। ১০ বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে এই চিকিৎসক দম্পতির। মামলায় স্ত্রীর দাবি, ২০০৪ সালের ২৬ জানুয়ারি তাদের বিয়ে হয়।বিয়ের সময় তার ব্যবসায়ী বাবা ৭০ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কারসহ দেড় কোটি টাকার সামগ্রী দিয়েছিলেন, ঢাকার সার্কিট হাউজ রোডে একটি ফ্ল্যাট মেয়েকে দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। এছাড়া বাদির নামে আমিন মোহাম্মদ গ্রীন মডেল টাউন, মাতুয়াইল ও যাত্রাবাড়িতে দুটি ফ্ল্যাট, সাভারে ৮ শতাংশ জমি, খুলনার বয়রায় ৩.৫ শতাংশ জমিও তার বাবা কিনে দেন। সব সম্পত্তি লিখে দিতে স্বামী মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন বলে বাদি নারী চিকিৎসক অভিযোগ এনেছেন। মামলায় বাদি অভিযোগ করেছেন, চাকরির সুবাদে তিনি ঢাকায় অবস্থান করায় খুলনায় হাসপাতালের একজন নারী টেকনেশিয়ানের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তার স্বামী। এনিয়ে কথা বলতে গেলে তার স্বামী আরো ক্ষিপ্ত হন। এর এক পর্যায়ে গত ৩ নভেম্বর রাতে স্বামী ডা. অলোক তাকে মারধর করেন। এদিকে ডা. অলোকের জামিন চেয়ে শুনানিতে তার আইনজীবীরা বলেন, এই দম্পতির মধ্যে জমি সংক্রান্ত গণ্ডগোল রয়েছে, কোনো যৌতুক চাওয়া হয়নি। তা প্রত্যাখ্যান করে বাদীর আইনজীবী বলেন, আসামির চাপে ও তার ভাড়াটে বাহিনীরা বাদীকে অপহরণের জন্যও এর আগে চেষ্টা চালিয়েছিল। সে বিষয়ে খুলনা সদর থানায় এবং ঢাকার রমনা থানায় সাধারণ ডায়েরি আছে। এইচএস |