যশোরে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির মানববন্ধন |
![]() বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যশোর শাখার সুকান্ত দাসের সঞ্চলনায় ছাত্রমৈত্রী যশোর জেলার সভাপতি শ্যামল শর্মা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের আগে লালন ও জাস্টিস থেমিসের ভাস্কর্য অপসারণ করতে পারার কারণেই আজ সাহস পেয়েছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মন্তব্য করার। বিবর্তন যশোরের সভাপতি নওরোজ খান চপল বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে অসংখ্য ভাস্কর্য আছে। তাদের দেশের খ্যাতিমান ব্যক্তি ও জাতির পিতাদের। এই মৌলবাদীরা বাঁদরের মতো, এদের প্রশ্রয় দিলে আপনার মাথায় উঠবে সরকার। যাদের বুকে বায়ান্ন ও একাত্তর আছে, তারা কখনো এই মৌলবাদীদের মেনে নেবেনা। শহীদ কর্ণেল জামিল সংসদের সাধারণ সম্পাদক রিমন খান বলেন, এদেশের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কোন অন্যায় দাবি করলে দৃষ্টান্তমূলক জবাব দিতে হবে। আইডিইবি সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নুরুল ইসলাম বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশে প্রগতিশীলদের নিষ্ক্রিয়তার কারণে মোল্লারা চাপাতি দিয়ে কল্লা কাটছে। পূজাটাও করতে দেবে না, বাঁধা দিচ্ছে। সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সাংস্কৃতিক সম্পাদক কাজী মাসুদ বলেন, এই দেশে মৌলবাদীদের অন্যায় আবদার মেনে নেওয়া হবে না। এদেরকে প্রতিরোধ করতে হবে। পূজা উদযাপন কমিটি সভাপতি মৃণাল কান্তি দে বলেন, আমাদের দেব-দেবীর মূর্তি ভাঙ্গার পরও বিচার হয়নি। ফলে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে কথা বলারও ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। যশোর মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী সামিউল আলম বলেন, বাঙালী জাতিকে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলা ভাষার অধিকার এনে দেওয়া বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কোন কটুক্তি সহ্য করা হবে না। ভাস্কর্য হচ্ছে সৌন্দর্য ও ইতিহাস। ইসলামের সঙ্গে এর বিরোধ নেই। যশোর মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি পার্থ সরকার বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, প্রত্যেকটি জেলায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন করতে হবে। যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিলন বলেন, বলতে দ্বিধা নেই। আমরা একাত্তরের চিন্তা-চেতনা থেকে সরে এসেছি। মুক্তিযুদ্ধ চেতনার সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সরকারকে দ্বৈতনীতি প্রত্যাহার করতে হবে। সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম কাজী মাসুদ বলেন, জাতির ওপরে আঘাত আনলে প্রতিরোধের বিকল্প নেই। এদের কাছে হার মানা যাবে না। দৈনিক কল্যাণ সম্পাদক একরামদৌলা বলেন, অপসারণের প্রতিবাদে যশোর সংবাদপত্র পরিষদের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বাঙালী জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে ধর্ম নিরপেক্ষতা ধ্বংস করতে হয়েছে। ৭২ এর সংবিধানে ফিরে যেতে। আমাদের এদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ইন্টার্ণ পরিষদের সভাপতি ডা. মুশফিক বলেন, ধর্মের অপব্যবহার করে মূর্তি ও ভাস্কর্যকে গুলিয়ে ফেলা হয়েছে। ডেপুটি কমান্ডার আফজালুর রহমান দোদুল বলেন, ইসলামিক পাকিস্তানকে লাথি মেরে আমরা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। মৌলবাদী আগাছা বাড়তে বাড়তে অনেক বেড়েছে। ওয়াজ মাহফিলের নামে ব্যবসা করে শীতকালে। ৭২ সালের সংবিধান পুনরুজ্জীবিত করে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারু বলেন, এই তালেবানি গোষ্ঠীকে বিতারিত করতে হবে। আমরা করবো এদের বিতারিত। কেন্দ্রীয় মহিলা পরিষদ নেত্রী হাবিবা সেফা বলেন, নারী থেকে শুরু করে সবাইকে আক্রমণ করছে এই মৌলবাদীরা। যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাজেদ রহমান বকুল বলেন, সরকার যেন মৌলবাদীদের কাছে আত্মসমর্পণ না করে। এদেরকে ছাড় দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি হারুন অর রশিদ বলেন, হ্যাক করে ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে মামলায় ফাঁসাচ্ছে মৌলবাদীরা। এরা অনলাইনে খুবই শক্তিশালী। সারা পৃথিবী বাংলাদেশকে এখন সম্মানের চোখে দেখে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। এদেরকে যদি দমানো না যায় অগ্রগতি বাঁধাগ্রস্ত হবে। আমাদের তিনটি দাবি মানতে হবে- ১. ধর্মনিরেপেক্ষ ৭২ সালের সংবিধান চালু। ২. মৌলবাদীদের মামলা দিয়ে এদেরকে নির্বৃত্ত করা। ৩. সাংস্কৃতিক কর্ম উৎসাহিত করতে হবে। -এসকে/এমএ |