বরগুনার বেতাগী পৌরসভার নির্বাচন আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। রোববার সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা প্রথম ধাপের ২৫টি পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা দলীয় পর্যায়ে ও ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এ বছরও মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।
মেয়র পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ থেকে ৬ জন দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তারা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বর্তমান পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব এ বি এম গোলাম কবির; পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, নব্বইয়ের এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ও পৌরসভার দুইবার প্যানেল মেয়র আলহাজ্ব হাদিছুর রহমান পান্না; উপজেলা আ'লীগের সদস্য, বরগুনা জেলা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক, জেলা পরিষদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান মো. নাহিদ মাহমুদ হোসেন লিটু; সাবেক ইউপি সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আব্দুস সোবাহান হাওলাদার; সাবেক উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মশিউর রহমান পাভেল এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান মহসিন।
উপজেলা আ'লীগের সভাপতি ও বর্তমান পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব এ বি এম গোলাম কবির পৌরসভায় ব্যাপক উন্নয়নের কাজ করেছেন বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘বেতাগী পৌরসভাকে তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি এবং দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণিতে রুপান্তর করেছি। গত নির্বাচনের ইশতেহারের প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ করেছি। বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য, বঙ্গবন্ধু পৌর অডিটোরিয়াম, অত্যাধুনিক ডাক বাংলো, পৌরসভার সকল রাস্তাঘাট, ফায়ার সার্ভিস, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ ব্যাপক উন্নয়নের কাজ করেছি। দল ও জনগণ যদি সুযোগ দেয় তবে আমি অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করব।’
পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার দুইবারের প্যানেল মেয়র আলহাজ্ব হাদিছুর রহমান পান্না বলেন, ‘জনগণের প্রতি আমার আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। আমি কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী। মেয়র নির্বাচিত হলে সকলের সহযোগিতা নিয়ে বেতাগী পৌরসভাকে মডেল ও আধুনিক পৌরসভা করা হবে।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক মো. নাহিদ মাহমুদ হোসেন লিটু বলেন, ‘দলের প্রতি আমার বিশ্বাস রয়েছে, দল আমাকে মূল্যায়ন করে মনোনয়ন দেবে। আমি সব সময় দলের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলাম, বর্তমানেও আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে সকলের পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়ে এলাকার ব্যাপক উন্নয়নের কাজ করা হবে।’
সাবেক ইউপি সদস্য ও উপজেলা কৃষক লীগ সভাপতি এবং বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আব্দুস সোবাহান হাওলাদার বলেন, ‘আমি রাজপথের এক সময়ের লড়াকু সৈনিক ছিলাম, কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করিনি। বিএনপির শাসনামলে গ্রেনেড হামলার সময় বেতাগী উপজেলা থেকে তীব্র প্রতিবাদ করেছি এবং সকল অন্যায় কাজে প্রতিবাদ করেছি। বেতাগীর সকল সামাজিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত ছিলাম। দল আমাকে মূল্যায়ন করে মেয়র পদে মনোনয়ন দেবে। জনগণের প্রতি আমার পূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থা রয়েছে। মেয়র নির্বাচিত হলে সহযোগিতার জন্য সকল শ্রেণির মানুষের পাশে থাকব।’
সাবেক উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মশিউর রহমান পাবেল বলেন, ‘দলের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল, দল যদি আমাকে ভালো মনে করে দলীয় মনোনয়ন দেয় তবে মেয়র পদে নির্বাচন করব। আর দল মনোনয়ন না দিলে, দলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক দলীয় প্রার্থীর পক্ষে একসঙ্গে কাজ করব।’
এছাড়াও, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান মহসিন বলেন, ‘জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণির জনগণের প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। কথায় নয়, আমি কাজে বিশ্বাস করি এবং নির্বাচিত হলে মুরব্বীদের যথোপযুক্ত সম্মান প্রতিষ্ঠা করব। যদি আমাকে পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত করে তবে জনসাধারণের কোন কাজের জন্য বেগ পেতে হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সকল ওয়ার্ডের জনসাধারণ আমাকে মেয়র পদে নির্বাচন করার জন্য আশ্বস্ত করেন। জনসাধারণের আন্তরিক ভালোবাসা ও স্নেহভাজন মহসিন হয়ে সব সময় তাদের পাশে থাকতে চাই।’
-এসকে/এমএ