সমাবেশে বক্তারাপাবনা চিনিকল বন্ধের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার ঘোষণা |
![]() বাংলাদেশ চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ও আখচাষি ফেডারেশনের ডাকে ঈশ্বরদীতে অবস্থিত পাবনা চিনিকল ইউনিয়ন ও আখচাষি কল্যাণ সমিতি ঈশ্বরদী আঞ্চলিক শাখা যৌথভাবে শনিবার দুপুরে উপজেলার কালিকাপুরে চিনিকলের প্রধান ফটকের সামনে এই কর্মসূচির আয়োজন করে। সমাবেশের পরপরই শ্রমিক-কর্মচারী ও আখচাষিদের বিক্ষোভ মিছিল বের হয় মিল চত্বরে। বিক্ষোভ মিছিল থেকে পাবনা সুগার মিলটি বন্ধের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার জোরালো দাবি জানানো হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আখচাষি ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শাজাহান আলী বাদশা ওরফে পেঁপে বাদশা। বক্তব্য দেন বাংলাদেশ চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও পাবনা সুগার চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জাম উজ্জ্বল সরদার, পাবনা চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ওয়ার্কস ইউনিয়নের সভাপতি সাজেদুল ইসলাম শাহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন, আখচাষি নেতা ও উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ন আহবায়ক মুরাদ আলী মালিথা প্রমুখ। শ্রমিক-কর্মচারী ও আখচাষিদের এই দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মকলেছুর রহমান মিন্টু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আতিয়া ফেরদৌস, কাকলী, পাবনা জেলা কৃষক লীগের সদস্য ও ঈশ্বরদী সরকারি কলেজে সাবেক ভিপি আলহাজ্ব আসাদুর রহমান বিরুসহ স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতা। সমাবেশে বক্তারা বলেন, লোকসানের অজুহাতে একটি মহল ঈশ্বরদীর ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান পাবনা চিনিকলটি বন্ধের ষড়যন্ত্র করছে। যা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া হবেনা। শ্রমিক-কর্মচারী ও আখচাষিরা মিলের আর্থিক সংকটের মধ্যেও তারা আখমাড়াই ও আখচাষ অব্যাহত রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। বর্তমানে মিলের ৬৮৭ জন শ্রমিক-কর্মচারী দীর্ঘ চারমাস বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আখচাষিদের পাওনা রয়েছে ৬৭ লাখ টাকা। বক্তারা আরও বলেন, পাবনা চিলিকলটি বন্ধের ষড়যন্ত্র হিসেবে এবার এই মিলে আখ মাড়াই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত আখ মাড়াইয়ের কোনো নির্দেশনা আসেনি প্রধান কার্যালয় থেকে। এ পরিস্থিতিতে আখমাড়াই শুরু এবং চিনিকলটি বন্ধ না করে এটি চালু রাখাতে হবে। কেএমএইচ/এসআর |