সেলসম্যান মনির এখন শত কোটি টাকার মালিক
Published : Saturday, 21 November, 2020 at 3:26 PM Count : 461
৯০ এর দশকে রাজধানীর গাউছিয়ায় একটি কাপড়ের দোকানে চাকরি করতেন মো. মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনির। বর্তমানে শত শত কোটি টাকার মালিক তিনি।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, পরে শুরু করেন ক্রোকারিজের ব্যবসা। তারপর লাগেজ ব্যবসা অর্থাৎ ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে তিনি বিভিন্ন দেশ থেকে মালামাল আনতেন। একপর্যায়ে জড়িয়ে পড়েন স্বর্ণ চোরাকারবারে। এরপর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। অবৈধ ভাবে স্বর্ণ চোরাচালান, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ভূমি দখল করে এখন তিনি হাজার কোটি টাকার মালিক। স্বর্ণ চোরাকারবারে জড়ানোয় ২০০৭ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়।
আশিক বিল্লাহ বলেন, বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ অবৈধ পথে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছেন গোল্ডেন মনির। আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে তার স্বর্ণ চোরাকারবারের রুট ছিল ঢাকা-সিঙ্গাপুর-ভারত। এসবই তিনি করেছেন ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে। যেখানে তার নাম হয়ে যায় গোল্ডেন মনির।
তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৩ এর একটি দল শুক্রবার রাত ১১টায় মেরুল বাড্ডা ডিআইটি প্রজেক্ট এলাকায় অবস্থান নেয়। অভিযানের মূল কারণ ছিল অবৈধ অস্ত্র ও মাদক। মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরকে আটকের পর তার হেফাজত থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি, বিদেশি মদ এবং ১০টি দেশের বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যায়। তার বাসা থেকে আট কেজি স্বর্ণ (৬শ ভরি) ও নগদ এক কোটি ৯ লাখ টাকা নগদ জব্দ করা হয়েছে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, 'তিনি মূলত একজন হুন্ডি ব্যবসায়ী, স্বর্ণ চোরাকারবারী এবং ভূমির দালাল। তার একটি অটোকার সিলেকশন শো-রুম আছে। পাশাপাশি রাজধানীর গাউছিয়ায় একটি স্বর্ণের দোকানের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে। আমরা তা বাসা থেকে অনুমোদনবিহীন বিলাসবহুল দুটি বিদেশি গাড়ি জব্দ করেছি। যার প্রত্যেকটি দাম প্রায় ৩ কোটি টাকা। এর পাশাপাশি কার সিলেকশন শো-রুম থেকেও আমরা ৩টি বিলাসবহুল অনুমোদনবিহীন গাড়ি আমরা জব্দ করেছি।
-এমআর/এমএ