দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় বির্পযস্ত উপকূলের জনজীবন
Published : Thursday, 22 October, 2020 at 2:57 PM Count : 359
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থিত লঘুচাপের কারণে উপকূলীয় এলাকায় দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে।
সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সকর্ত সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
লঘুচাপের প্রভাবে বুধবার রাত থেকে টানা বর্ষণের ফলে অচল হয়ে গেছে জনজীবন। শহরের রাস্তঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ থাকার কারণে এবং সাগর উত্তাল থাকায় মৎস্য বন্দর আলীপুর-মহিপুরে আশ্রয় নিয়েছে হাজার হাজার মাছ ধরা ট্রলার। বিপাকে পড়েছেন নিন্মআয়ের মানুষ।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ১৬০ মিলিলিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিস। আগামী ৪৮ ঘন্টা এমন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়ে আবহাওয়া বিভাগ।
এদিকে, দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে জেলার অভ্যন্তরীণ সকল রুটে ৬৫ ফুটের নীচে সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।
বৃহস্পতিবার সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কাজের সন্ধানে বের হওয়া এসব মানুষ কাজ না পেয়ে বৃষ্টিতে ভিজে বাড়িতে ফিরে গেছেন।
সদর উপজেলার আউলিয়াপুর এলাকার কামাল হোসেন (৩৫) জানান, তিনি রোজ মাছ ফেরি করে বিক্রি করেন। কিন্তু আজ প্রচন্ড বৃষ্টিপাতের কারণে মাছ কিনতে পারেননি। খালি হাতেই আজ বাড়ি ফিরতে হচ্ছে তাকে।
অটোরিকশাচালক ইব্রাহিম জানান, সকাল থেকে বৃষ্টিতে ভিজে একশ টাকাও আয় করতে পারেননি। রাস্তায় কোন লোক নেই।
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাঙ্গাবালি উপজেলার চর মোন্তাজ ইউনিয়নের চর আন্ডা এলাকার তুহিন হাওলাদার জানান, স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি ২/৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়ে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পুকুর ঘের তলিয়ে মাছ নদীতে চলে যাবার সম্ভবনা রয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হৃদয়েশ্বর দত্ত জানান, চলমান বৃষ্টিপাত আমন ফসলের জন্য ক্ষতির কোন কারণ হবে না। তবে এটি যদি ৫/৬ দিন ধরে চলে তাহলে কিছু কিছু ধানের ফুল এসেছে সেগুলো কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এছাড়া শাক সবজির ক্ষেত ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।
-পিএম/এমএ