For English Version
শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
হোম

শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে

Published : Wednesday, 21 October, 2020 at 12:52 PM Count : 587

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

সাপ্তাহিক অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

বুধবার বেলা ১২টায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'মাধ্যমিকের বার্ষিক পরীক্ষা নয়, কেবল শিক্ষার্থীদের ত্রুটি বুঝতে মূল্যায়ন। এ জন্য ৩০ কর্মদিবসে শেষ করা যায় এমন সিলেবাস প্রণয়ন করেছে এনসিটিবি। এতে পরের ক্লাসে ওঠার ক্ষেত্রে কোন প্রভাব পড়বে না। মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের সাপ্তাহিক অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করে শিক্ষার্থীরা জমা দেবেন। সাপ্তাহিক অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমেই মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন।'

তিনি বলেন, 'এর বাইরে শিক্ষার্থীদের কোন ধরনের বাসার কাজ দেয়া যাবে না। চার সপ্তাহে শুধু চারটি অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করে শিক্ষকদের কাছে শিক্ষার্থীরা পৌঁছে দেবে।'
দিপু মনি বলেন, 'এই মূল্যায়নটার মাধ্যমেও যেন কোন চাপ সৃষ্টি করা না হয়। এই মূল্যায়ন শুধুমাত্র আমাদের বোঝার জন্য শিক্ষার্থীদের কোথায় কোথাও দুর্বলতা আছে, সেগুলো পরের ক্লাসে কাটিয়ে ওঠার ব্যবস্থা করব।'

তিনি বলেন, 'এই মূল্যায়ন তার পরের ক্লাসে উত্তীর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে কোন ধরনের প্রভাব ফেলছে না। এই মূল্যায়নের মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষে তাদেরকে কোন কোন জায়গায় দুর্বলতা আছে তা পরের ক্লোসে অ্যাড্রেস করব এবং তা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করতে পারব সেই কাজের জন্য এই মূল্যায়ন করা হবে।'

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'একজন শিক্ষার্থীর তার ক্লাস থেকে পরবর্তী ক্লাসে যেতে যতটুকু শিখনজ্ঞান প্রয়োজন তা বিশ্লেষণ করে ৩০ দিনের এ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে। এটি মূল্যায়ন করে সবাইকে পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করা হবে। যেসব শিক্ষার্থী ভার্চুয়াল বা টেলিভিশন ক্লাস থেকে একেবারে বঞ্চিত রয়েছে, তাদের এগিয়ে নেয়ার জন্য শিক্ষকদের মাধ্যমে ছোট ছোট দল করে সেই শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নেয়া হবে।'

তিনি বলেন, 'এরপরও যদি কেউ বঞ্চিত থাকে, তার কারণ ও তাদের কীভাবে এগিয়ে নেয়া যায় তা বিবেচনা করা হবে। আগামী বছরের জানুয়ারিতে সবাইকে নতুন ক্লাসে উন্নীত করা হবে। তাদের মধ্যে কেউ পিছিয়ে থাকলে তাদের চিহ্নিত করে বাড়তি পরিচর্যা নেয়া হবে।'

তবে নভেম্বরেও যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হবে না, সেই আভাস দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'এখন পর্যন্ত যে অবস্থা তাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানে যেখানে খুলেছিল অধিকাংশ জায়গায় বন্ধ করার পর্যায়ে আছে।'

তিনি বলেন, 'আমরা যখন মনে করব যে আমাদের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই বা খুবই সামান্য, হয়তো বা যে রিস্কটুকু নেওয়া সম্ভব, সে রকম একটা অবস্থায় যদি যায়, তখন আমরা খুলতে পারব। সেটি কবে হবে সেটি আমাদের কারো পক্ষেই এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়।'

দিপু মনি বলেন, 'শিক্ষার্থীদের আমি বলব, যাদের সামনের বছর এসএসসি ও এইচএসসি আছে, তারা অবশ্য অবশ্যই নিজেরা নিজেদের… সবার কাছে বই আছে, যতদূর সম্ভব অনলাইনে অ্যাকসেস করবেন। সমস্ত ক্লাসগুলো আছে আপনারা আপনাদের পড়াশোনাগুলো চালিয়ে যান।'

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক গোলাম ফারুক চৌধুরী এবং শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা।

-এমএ

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,   [ABOUT US]     [CONTACT US]   [AD RATE]   Developed & Maintenance by i2soft