বাল্যবিবাহমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় সচেতনতার বিকল্প নেই : স্পিকার
Published : Tuesday, 20 October, 2020 at 6:07 PM Count : 364
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেনছেন, দেশে বাল্যবিবাহ মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে আমাদেও কিশোরী সচেতনতা বেশি জরুরি। এরপর আমাদের অভিভাবক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের মধ্যেও সচেতনতার মাধ্যমে একটি সচেতন কমিনিউটি গড়ে তুলতে হবে।
সুস্থ কিশোরী, নিরাপদ আগামী এই শ্লোগানে মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসন আয়োজিত প্রজনন স্বাস্থ্যশিক্ষা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে অনলাইন সচেতনতায় ‘কন্যারত্ন’ ক্যাম্পেইনে ভার্চুয়াল এপের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসক ড. সাবিনা ইয়াসমিনের সভাপতিতে এবং সদও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাবিহা কবীরের সঞ্চালনায় এই অন লাইন ক্যাম্পেইনে অতিথি বক্তা হিসেবে পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট সংযুক্ত ছিলেন।
এছাড়া বিশেষজ্ঞ বক্তা হিসেবে ছিলেন, খুলনা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. শেখ সাদিয়া মনোয়ারা উষা এবং ইউএনএফপিএ এর বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. অসা টার্কেলসন।
‘স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী আরও বলেন, মেয়েদের শিক্ষা ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক উদ্যোগ নিয়েছেন। বিনামুল্যে লেখাপড়ার খরচসহ নিয়মিত উপবৃত্তি পাচ্ছেন। এজন্য অভিভাবকদের বুঝতে হবে যে, মেয়েরা এখন আসলেই আমাদের ‘কন্যারত্ন’। তারা আমাদের দেশের সম্পদ।
জেলা প্রশাসক ড. সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, মুজিববর্ষের ১৭ আগস্ট সামনে রেখে জেলার ৫ উপজেলায় সতেরশ কিশোরী শিক্ষার্থীর প্রত্যেককে একটি করে বাইসাইকেল প্রদান করা হয়েছে। এই সতেরশ কিশোরী কন্যারত্নদের জেলা প্রশাসনের এম্বাসেডর (বিশেষ দ্যূত) ঘোষণা করা হয়েছে। মুজিববর্ষের শুরু থেকে এদের মধ্য থেকে বিভিন্ন গ্রুপ করে দুই একদিন পরপর প্রজনন স্বাস্থ্যশিক্ষা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে অনলাইন সচেতনতায় বিশেষ ভার্চুয়াল ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে দেশবরণ্য ব্যাক্তিত্ব এবং প্রজনন স্বাস্থ্যশিক্ষায় বিশেষজ্ঞ চিকিসকরা এই ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়েছেন। তাদের কাছে অনলাইনে জুম এপের মাধ্যমে সরাসরি কিশোরী কন্যারত্নরা নানা বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করছেন। তারা তাদের উত্তর দিচ্ছেন। এই আয়োজনের আজকের ক্যাম্পেইনে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংযুক্ত থেকে মুল্যবান পরামর্শ দেন। মুজিববর্ষ জুড়েই এই আয়োজন থাকবে বলে আশা করেন জেলা প্রশাসক।
এইচআইএইচ/এইচএস