সড়কতো নয় যেন ধান চাষের জমি |
![]() অপরদিকে, বনমালীকুড়ি থেকে আত্রাই যাওয়ার প্রায় সাড়ে ১৩ কিলোমিটার সড়কের অধিকাংশ অংশেই বিটুমিন উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে বছরের পর বছর এই অঞ্চলের প্রায় শতাধিক গ্রামের কয়েক লাখ মানুষকে প্রতিদিনই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। চলাচলের এটিই একমাত্র সড়ক হওয়ার কারণে কৃষি নির্ভর এই অঞ্চলের মানুষের বছরের পর বছর চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সড়ক খারাপ হওয়ার কারণে এই অঞ্চলের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্যের নায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। শড়িয়া গ্রামের শফিকুর, হালিমসহ অনেকেই বলেন, শড়িয়া, বনমালীকুড়ি, কালীগঞ্জসহ প্রায় শতাধিক গ্রামের মানুষের নওগাঁ, রাণীনগর, আত্রাই চলাচলের একমাত্র সড়ক এটি। কিন্তু বছরের পর বছর কোন সংস্কার কিংবা মেরামত না করায় আজ এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি বড় বড় খানা খন্দে পরিণত হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে গর্তে পানি জমে থাকার কারণে বোঝা যায় না যে কোনটি সড়ক আর কোনটি গর্ত। এই একটি সড়ক আমাদের জীবনের চাকাকে থেমে দিয়েছে। কারণ যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হলে সেই অঞ্চলের মানুষদের জীবনমান কখনোই বদলায় না। ![]() নওগাঁ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদুল আলম বলেন, 'এই সড়কটির বেহাল দশার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর সড়কটির সংস্কার কাজের প্রকল্পের অনুমোদন পাওয়া গেছে। দ্রুতই দরপত্র আহ্বান করা হবে। অর্থ বরাদ্দ পেলেই আগামী মাস থেকে এই সড়কটি সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে। -এমএ |