ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: আরও তিন আসামি রিমান্ডে
Published : Tuesday, 29 September, 2020 at 12:43 PM Count : 476
সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় আরও ৩ আসামিকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আমলি আদালতের বিচারক সাইদুর রহমান এ আদেশ দেন।
এরা হলেন, রনি, রাজন ও আইনুল।
এর আগে আদালতে তাদের হাজির করে ৭ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরাণ (র.) থানার পরিদর্শক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য্য।
সিলেট নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী বলেন, এ দিন আসামি মাহবুবুর রহমান রনি, রাজন ও তার সহযোগী আইনুলের ৭ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হলে ৫ দিন করে মঞ্জুর করেন বিচারক।
আদালত থেকে বেরিয়ে সিলেট জেলা বারের সিনিয়র আইনজীবী হাবিবুর রহমান বলেন, রিমান্ড মঞ্জুরকালে জেলা বারের শতাধিক আইনজীবী বাদি পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। আসামিপক্ষে কোন আইনজীবী দাঁড়াননি।
তারা আদালতকে বলেন, ধর্ষণকারীরা এমসি কলেজের ১২৮ বছরের ইতিহাস কলঙ্কিত করেছে। তাদের ৭ দিনের রিমান্ড দিলে নেপথ্যের প্রশ্রয়দাতাদের নাম বেরিয়ে আসবে। সে সময় আদালতের বিচারক দুই লাইনে আসামিদের বক্তব্য জানতে চাইলে তারা কোন কিছু বলেনি।
এর আগে সোমবার এ মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর ও রবিউলকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে শুনানি শেষে তাদের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সন্ধ্যায় স্বামীর সঙ্গে এমসি কলেজে ঘুরতে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মহানগর ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী তাদের জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রবাসে নিয়ে যায়। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে তারা। রাত ১১টায় শাহপরাণ থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীর স্বামী শাহপরান থানায় মামলা করেছেন।
এই ছয়জন হলেন, সাইফুর রহমান (২৮), তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক আহমদ (২৮), শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি (২৫), অর্জুন লস্কর (২৫), রবিউল ইসলাম (২৫) ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম (২৫)। তারা সবাই ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত।
-এমএ