মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে নৃত্যমালিকা 'দেবী বন্দনা' মঞ্চায়িত হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ভানুগাছ রোডস্থ মহসিন অডিটোরিয়ামে জেলার আগমনী নৃত্যশিল্পীরা এটি পরিবেশন করেন।
সুশিপ্তা দাশ ও দেবস্মিতা দেবের সঞ্চালনায় নৃত্যমালিকার শুরুতে মঞ্চে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি জহর তরফদার, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বিনেন্দু ভৌমিক, বালাগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যাপক অবিনাশ আচার্য, শ্রীমঙ্গল থানার ওসি অপারেশন নয়ন কারকুন, সাংস্কৃতিক কর্মী কামরুল হাসান দোলন, সজল দাশ, প্রাপ্ত প্রীতম প্রমূখ।
অনুষ্ঠনের শুরুতে শ্রীমঙ্গল নৃত্যালয়ের পরিবেশনায় দ্বীপ দত্ত আকাশের পরিচালনায় এক মনোমুগ্ধকর আগমনী নৃত্য পরিবেশিত হয়। এতে নৃত্য পরিবেশন করেন রুবেল, বকুল, হ্যাপি, মৌসুমী, রিম্পি ও উদিতা।
অনুষ্ঠান সহযোগীতায় ছিলেন দ্বীপ দত্ত আকাশ ও শ্রীমঙ্গল সাংস্কৃতিক একাডেমি। নৃত্যমালিকার মূল ভাবনা, চিন্ত ও নির্দেশনায় ছিলেন প্রাপ্ত প্রীতম।
নৃত্যমালিকা 'দেবী বন্দনা'র বিভিন্ন চরিত্রে নারী শক্তির ভক্তির উদাহরণে ফাল্গুনী, পুরো থিমে দেবীর পুরোহিতের চরিত্রে সুমিত, অষ্টমাতৃকার একক শক্তির রুপে নিরুপমা, সতীর ছোটবেলার রুপে মৌ, যৌবনের রুপে ইশিতা, দেবী যোগমায়ার রুপে রাত্রী, বিমলা রুপে বিদ্যা, দক্ষ রুপে আকাশ, মহালক্ষীর রুপে ঐন্দ্রিলা, দেবী বৈষ্ণবী রুপে প্লবতা, দেবী ব্রম্মাণী রুপে দেবযানী, দেবী কুমারী রুপে তমিশ্রা, নৃসিংহী ও অসুর রুপে অভি, দেবী চন্ডী রুপে শতাব্দী ও শিবের চরিত্রে ছিলেন প্রাপ্ত প্রিতম।
অনুষ্ঠান দেখতে আসা প্রণবেশ চৌধুরী অন্তু বলেন, 'অনেক দিন পর অসাধারণ একটা পারফর্ম দেখলাম। মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে দেখলাম ভবিষ্যত শিল্পীদের পরিবেশনা। যদিও দর্শক সারি থেকে চিৎকার মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটিয়েছিলো। শতভাগ উজার করে দিয়ে শিল্পীদের পরিবেশনা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। নির্দেশকসহ সকল কলাকুশলীদের অজস্র ধন্যবাদ।'
কোরিওগ্রাফার প্রাপ্ত প্রিতম বলেন, 'নৃত্যমালিকা যেখানে নৃত্যের মালা ফোটে উঠে। গত বছরে আমি এই কাজটা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে কাজটি নামাতে পারিনি। আমাদের আগমনী ড্যান্স প্রোডাকশন হাউস বছরে দুটি কাজ নামায়। যার আহ্বাক তুষার রায়, আমি কোরিওগ্রাফার। আমাদের সিজনাল কাজ হচ্ছে মাতৃপক্ষে একটা ও বসন্তে একটা করবো। গত বছরে শো’টা না করায় যেন এ বছর কাজটা করতে পারি। দু’মাস ধরে রিহার্সেল করানোর পর করোনা মহামারীর পরিস্থিতির কারণে বার বার বাঁধা আসছিলো বিভিন্ন জায়গা থেকে। তারপর নিজের ও আমার আর্টিসদের স্বপ্ন পূরণের পথে কোন বাঁধাই বাঁধা হিসেবে দেখিনি। অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বলা যেতে পারে চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজটি নামিয়েছি। তবে দর্শকদের উৎসাহ, সব মিলিয়ে আমরা সফল হয়েছি।
-আরএ/এমএ