শুক্রবার রাতে শহরের খামারিয়াপাড়া এলাকার সোনালী ব্যাংকের উপরে ছয় তলায় ভাড়া বাসা থেকে তাকে আটক করে। নির্যাতিত গৃহকর্মীর নাম সাদিয়া উরফে ফেলি (১০)। সে শ্রীবরদী পৌর এলাকার মুন্সিপাড়া এলাকার কৃষক সাইফুল ইসলামের মেয়ে।
পুলিশ জানায়, ১১ মাস আগে সাদিয়াকে গৃহকর্মী হিসেবে আনা হয়। কিন্তু তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তাকে নির্যাতন করে শাকিলের স্ত্রী ঝুমুর। গত ১৫ দিন ধরে মেয়েটির উপর নির্যাতন চলে আসছিল। একপর্যায়ে সাদিয়া বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে দুইদিন আগে মেয়েটিকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় ঝুমুর। শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ৯৯৯ নম্বরে কল করে অভিযোগ জানায় ভুক্তভোগীর পরিবার। পরে পুলিশ রাতে অভিযুক্ত ঝুমুরকে আটক করে।
এদিকে, ভিকটিমকে শুক্রবার রাতেই শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থা ভালো না হওয়ায় শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে সাদিয়াকে।
নির্যাতিত সাদিয়া জানায়, শুধু নির্যাতন নয়, তাকে খাবার পর্যন্ত দেওয়া হতো না ঠিকভাবে। পশুর মতো নির্যাতন করলেও কেউ ফিরাতো না। বাড়ি যেতে চাইলেই বেদম প্রহার করা হতো। বাবা-মা কারও সাথে দেখা করতে দেওয়া হতো না।
শেরপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার খায়রুল কবির সুমন জানান, মেয়েটির উপর নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে, যা দীর্ঘদিন ধরে করা হচ্ছে। তার পুরো শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। শরীরের ষ্পর্শকাতর স্থানে অসংখ্য আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। পেটে পানি এসে গেছে।
শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিনুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ঝুমুরকে অভিযুক্ত করে শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তকে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মেয়েটিকে রক্ষা করতে পুলিশ সার্বিক প্রচেষ্ঠায় আছে।
এএইচআর/এইচএস