ক্ষুধার জ্বালা নাকি মাথা গোঁজার ঠাঁই, কোনটা আগে মেটাবে?
Published : Tuesday, 22 September, 2020 at 8:24 PM Count : 313
ভোলার চরফ্যাশনে আকর্ষিক টর্নেডোতে ঘরবাড়ি হারা পরিবারগুলোর কেউ কেউ নতুন করে ঘর তোলার প্রস্তুতি নিলেও অনেকের পক্ষে তা সম্ভব হয়নি। ঝড়ের পরদিন আবারও বৃষ্টি হওয়ায় ভোগান্তি আরও বেড়েছে। এ অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের সহায়তা চেয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
শনিবার রাতে টর্নেডোর কয়েক মিনিটের তাণ্ডব রেখে গেছে ক্ষতচিহ্ন। ক্ষুধার জ্বালা নাকি মাথা গোঁজার ঠাঁই, কোনটি রেখে কোনটিকে আগে মেটাবেন-তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরিবারগুলো। ঝড়ের আঘাতের ওপর বাড়তি যন্ত্রণা হয়ে এসেছে বৃষ্টি। তাই ধ্বংসস্তুপ সরাতে পারছেন না ক্ষতিগ্রস্তরা। চ
রফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো রুহুল আমিন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলোর জন্য সাহায্যে তালিকা প্রণয়ন করার হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা আনিচুল হক বলেন, শনিবার মধ্যরাতে চরফ্যাশনের আছলামপুর ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড ভুলাই বড়ির মোড় এলাকায় ক্ষনিকের আকস্মিক টনের্ডোর আঘাতে প্রায় ৮০টি বসত বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদের মধ্যে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ৬৬ পরিবারকে ১৫০০ টাকা করে এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ২৪ পরিবারকে ৭০০ টাকা করে নগদ প্রদান করা হয়েছে। যাহাতে তারা বসতঘর গুলিকে মেরামত করে বসবাসের উপযোগী করতে পারে। খাবারের জন্য প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ৩০ কেজি চাউল দেয়া হয়েছে।
এছাড়া আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি ৮০ পরিবারকেই ৫০০০ টাকা করে তিনি তার নিজ তহবিল থেকে দিয়েছেন। অন্যদিকে আসলামপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরে আলম মাস্টারের পক্ষ থেকেও ত্রাণ সহায়তার আশ্বাস দেয়া হয়। ঝড়ের মৌসুম না হওয়ায় আকর্ষিক টর্নেডোর মোকাবেলায় আগাম কোনো প্রস্তুতি ছিল না বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর।
এইচএস