'জীবদ্দশায় বাবা আমাদের অনেক জমিজমা দিয়ে গেছেন'
Published : Tuesday, 22 September, 2020 at 2:21 PM Count : 376
স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়িচালক আবদুল মালেকের ভাই আবদুল খালেক বলেছেন, ‘বাবা জীবদ্দশায় আমাদের অনেক জমিজমা দিয়ে গেছেন। আজ থেকে অনেক বছর আগের কথা, তখন পাঁচ হাজার টাকা কাঠা দামে জমি পাওয়া যেত। বাবা আমাকে ও ভাইকে অনেক জমি কিনে দিয়েছেন। আর হাতিরপুলে যেই জমির কথা বলা হয়েছে সেটাও আমার বাবার জমি।’
সোমবার গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুল খালেক বলেন, ‘বাবা মারা যাওয়ার আগে এই জমি আমার মা ও ভাই-বোনদের দিয়ে গেছেন। এখন এটা ডেভেলপারকে দিয়ে আমরা ফ্ল্যাট বানাচ্ছি। আর যেই গরুর খামারের কথা এসেছে সেই জমিও আমার বাবার কিনে দিয়ে গেছেন। কিছু জমি বাবা তার পেনশনের টাকায় কিনে দিয়ে গেছেন। আমার বাবা ২০০৫ সালে মারা গেছেন। তিনি জীবিত থাকলে জমি-জমার বিষয়ে আরও ভালো বলতে পারতেন।’
তিনি বলেন, ‘আমিও ১৯৯৪ সাল থেকে অফিস সহকারী হিসেবে অধিদফতরে আছি। ১৯৯৩ সালে পত্রিকার সার্কুলার দেখে চাকরির আবেদন করেছি। ৯৪ সালে ইন্টারভিউ দিয়ে চাকরি নিয়েছি। আমার চাকরিতে কারো কোন সহযোগিতা ছিল না। ইন্টারভিউ দিয়ে পাস করে নিয়ম অনুযায়ী যোগদান করেছি।’
মালেকের বিরুদ্ধে অনিয়মের মাধ্যমে তার মেয়ে নৌরিন সুলতানা বেলিকে অধিদফতরের অফিস সহকারী পদে, ভাতিজা আব্দুল হাকিমকে অফিস সহায়ক পদে, বড় মেয়ে বেবির স্বামী রতনকে ক্যান্টিন ম্যানেজার হিসেবে, ভাগ্নে সোহেল শিকারীকে ড্রাইভার পদে, ভায়রা মাহবুকে ড্রাইভার পদে, নিকটাত্মীয় কামাল পাশাকে অফিস সহায়ক পদে চাকরি দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়াও, রাজধানীর তুরাগে ৭ তলার দুটি বিলাসবহুল বাড়িতে ২৪টি ফ্ল্যাট, ১২ কাঠার আরেকটি প্লট ছাড়াও হাতিরপুলে নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবনের মালিকও তিনি।
গত রোববার তুরাগের বাড়ি থেকে গ্রেফতারের সময় মালেকের নিকট থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, ৫ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ বাংলাদেশি জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল উদ্ধার করে র্যাব-১।
-এমএ