জামিন পাননি সাবেক ডিআইজি বজলুর রশীদ, সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ
Published : Tuesday, 22 September, 2020 at 1:15 PM Count : 451
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় কারা অধিদফতরের সাবেক ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশীদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। সেই সঙ্গে তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন আদেশ দেন।
এর আগে গত ০১ সেপ্টেম্বর কারা অধিদপ্তরের সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি প্রিজন্স বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত।
ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ আসামির উপস্থিতিতে চার্জশিট গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে ২২ সেপ্টেম্বর চার্জ শুনানির দিন ধার্য করে মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এ বদলির আদেশ দেন।
গত ২৬ অগাস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দীন চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
চার্জশিটে বলা হয়, বজলুর রশীদ রূপায়ন হাউজিং স্টেট থেকে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী রোডের ৫৫/১ (পুরাতন) ৫৬/৫৭ (নতুন) নির্মাণাধীন স্বপ্ন নিলয় প্রকল্পের ২ হাজার ৯৮১ বর্গফুট আয়তনের অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন। ইতোমধ্যে তিনি অ্যাপার্টমেন্টের মূল্য বাবদ ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। এ অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয় বাবদ বজলুর রশীদ যে টাকা পরিশোধ করেন, এর সপক্ষে কোন বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি।
এমনকি তিনি অ্যাপার্টমেন্টের ক্রয় সংক্রান্ত কোন তথ্য তার আয়কর নথিতে দেখাননি। পরিশোধিত ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা জ্ঞাত আয় উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রায় সোয়া ৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ দুদক আইন ২৭ (১) ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়।
২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল অ্যাপার্টমেন্ট কেনার জন্য রূপায়ন হাউজিং স্টেটের সঙ্গে তিনি চুক্তি করেছিলেন। এরপর ২০১৮ সালের ০৭ জুন পর্যন্ত ৫৪ হাজার টাকা ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মাধ্যমে চেকে পরিশোধ করেন। আর বাকি ৩ কোটি ৭ লাখ ৪৬ হাজার নগদে পরিশোধ করেন। তার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। ওই দিনই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
কারা ক্যাডারের ১৯৯৩ ব্যাচের কর্মকর্তা বজলুর রশীদ ঢাকায় কারা সদর দপ্তরে দায়িত্ব পালন করেন। ডিআইজি হিসেবে এর আগে সর্বশেষ রাজশাহীতে ছিলেন।
-এমএ