ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সহ সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে এবার অপহরণ, ধর্ষণ, ধর্ষণে সহযোগিতা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন এক তরুণী।
সোমবার রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলায় নুরসহ ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওই তরুণীর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলার ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগকে। ৩ নম্বরে রয়েছেন নুরুল হক নুর। বাকিরা হলেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক (২) মো. সাইফুল ইসলাম, সহ সভাপতি মো. নাজমুল হুদা ও ঢাবি শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ হিল বাকি।
মামলায় ঘটনার স্থান উল্লেখ করা হয়েছে, কোতওয়ালী থানা এলাকার সদরঘাট হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে।
মামলায় ঘটনার দিনক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিট থেকে রাত ৮টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
এর আগে গত রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতা করার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় ৬ জনকে আসামি করা হয়।
সেই মামলায় সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধর্ষণের মামলার পাশাপাশি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগেও তাকে আটক করা হয়। এরপর তাকে নেয়া হয় ডিবি কার্যালয়ে। সেখানে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নেয়া হয়।
চিকিৎসা শেষে রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। ছেড়ে দেয়ার কিছুক্ষণ পর তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ০৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত। সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
-এমএ