ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সহ সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরকে আটকের কয়েক ঘণ্টা পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসা শেষে মাইক্রোবাসে করে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়। সেখান থেকে সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
ছেড়ে দেয়ার কিছুক্ষণ পর তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সহ সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরকে ডিবি কার্যালয়ে আনার পর অ্যাজমার কারণে তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। যে কারণে ডিবি হেফাজতে তাকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। পরে সেখান থেকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।’
এর আগে ধর্ষণের মামলার পাশাপাশি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৮টার দিকে তাকে আটক করা হয়। এরপর তাকে নেয়া হয় ডিবি কার্যালয়ে। এর কিছুক্ষণ পরই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
গত রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় মামলাটি করেন। মামলায় মোট ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ধর্ষণে সহযোগী হিসেবে নুরুল হক নুরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে, এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ০৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত। সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে। ধর্ষণের স্থান হিসেবে লালবাগ থানার নবাবগঞ্জ বড় মসজিদ রোডে হাসান আল মামুনের বাসার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বাদি শিক্ষার্থী ঢাবির বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে থাকেন।
নুর ও মামুন ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক (২) মো. সাইফুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ সভাপতি মো. নাজমুল হুদা এবং ঢাবি শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ হিল বাকি।
-এমএ