আইন অমান্য করে মেঘনায় বেহুন্দী জাল
Published : Sunday, 20 September, 2020 at 12:50 PM Count : 438
ভোলার চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলার পার্শ্ববর্তী মেঘনা নদীর কয়েকটি গুরুত্বপূণ স্থানে অবৈধ ভাবে পাতা হচ্ছে বেহুন্দী জাল (লাল রঙের সুতোয় বোনা)। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন সাধারণ জেলেরা।
এ জন্য জেলেরা স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীকে দায়ী করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, প্রভাবশালী গ্রুপটি প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এ কাজ করছে।
অন্যদিকে, অবাধে মৎস্য আইন অমান্য করে রেনু পোনাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিধন হওয়ায় হুমকির মুখে জাতীয় মৎস্য সম্পদ।
জানা যায়, প্রতি বছরই মেঘনায় প্রভাবশালী সংঘবদ্ধ মাছ ব্যবসায়ী চক্র মৌসুম বুঝে অবৈধ বেহুন্দী জাল দিয়ে মাছ ধরেন। চলতি মৌসুমে এর প্রভাব ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দুই উপজেলার চতুর্দিকে অবস্থিত মেঘনা নদীর মাঝে ও ডুবো চর এলাকাসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বাঁশ ও গাবের খুঁটি দিয়ে এলাকা দখল করে মাছ শিকার করছে তারা। এর ফলে সাধারণ জেলেরা ইলিশ শিকারে জাল ফেললে তা আর উঠানো যায় না। পরে তা ফেলে রেখে আসতে হয়।
ওই প্রভাবশালী মহল মৎস্য আইন অমান্য করে মেঘনায় বেহুন্দী জাল দিয়ে ইলিশের রেনু পোনা, কোরাল, পাঙাশ, ভেটকি, পোয়া, আইড়, বাটা, রিঠা, বোয়াল ও চিংড়ির রেনু পোনাসহ কয়েক হাজার প্রজাতির মাছের রেনু পোনা নষ্ট করছে দেদারছে। এতে করে একদিকে দেশের প্রচলিত আইনকে অমান্য করছে অপরদিকে রেনু পোনাসহ মৎস্য সম্পদ নষ্ট করছে। এতে মৎস্য সম্পদ হুমকির মুখে পড়বে বলে আশংকা করছেন জেলেরা।
প্রতি বছরই সাধারণ জেলেরা অবৈধ বেহুন্দী জালের প্রতিবাদ করে আসছে। কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি।
জেলেরা জানান, বেহুন্দী জালের কারণে আমরা অনেকে একেবারেই নিঃস্ব হয়ে গেছি। কিন্তু প্রতিবাদ করলে আমাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয়। এমনকি নানা ঝামেলাও পোহাতে হয়। তারা দ্রুত এর কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার জোড়ালো দাবি জানাই।
চরফ্যাশন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মারুপ হোসেন মিনার বলেন, ‘এসব জাল জব্দে অভিযান চালানোর জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও প্রশাসনের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে চরফ্যাশনে জাটকা সংরক্ষণ অভিযানের অংশ হিসেবে বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর পাতার চর, চর বিশ্বাস, মেম্বারের চর ,চর ইসলাম, চরমানিকা ঠৌডা, চর কচ্ছপিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার মিটার জাল জব্দ করেছি।পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো রুহুল আমিনের আদেশে জব্দকৃত জাল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
-এসএফ/এমএ