সরকার করোনা ভাইরাস শনাক্তে অ্যান্টিজেন টেস্ট অনুমোদন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব রোধে তাইওয়ান সরকার কর্তৃক স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
করোনার তিন ধরনের টেস্ট হয় জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'একটা হলো পিসিআর টেস্ট, যেটা আমরা করে যাচ্ছি। আর দুটি টেস্ট- একটি অ্যান্টিজেন এবং অপরটি র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট।'
তিনি বলেন, 'করোনার র্যাপিড টেস্ট করার কোন সিদ্ধান্ত নেই। তবে, এখন থেকে করোনার অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা করা হবে। তবে কোন অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হবে না।'
তিনি আরও বলেন, 'অ্যান্টিজেন টেস্ট যেটা আছে, সেটা আমরা এখন অ্যালাও করব, সীমিত আকারে। সেটা হবে আমাদের হাসপাতালগুলোতে (সরকারি হাসপতাল) এবং আমাদের যে সরকারি ল্যাব আছে, সেখানে। যেখানে আমাদের ল্যাব নেই, সরকারের তত্ত্বাবধানে আমরা সেখানে অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা আগামীতে করব। অর্থাৎ অ্যান্টিজেন টেস্ট আমরা সরকারি ভাবে অ্যালাও করব। কিন্তু অ্যান্টিবডি টেস্ট আমরা এখনও অ্যালাও করব না।'
জাহিদ মালেক বলেন, 'পিসিআর টেস্ট, একটা ল্যাব থেকে এখন প্রায় ৮৮টি ল্যাবে টেস্ট হয়। কিন্তু টেস্টের সংখ্যা সেভাবে বাড়েনি। কারণ কিছু লোকের অনীহা দেখা দিয়েছে।'
তিনি বলেন, 'পিসিআর টেস্টের জন্য আমরা যে ফি নির্ধারণ করেছিলাম, তা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০০ টাকার টেস্ট ১০০ টাকা, ঘরে বসে টেস্ট ৫০০ থেকে ৩০০ টাকা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আমাদের কাছে অনুরোধ এসেছে, যারা টেস্ট করে বিদেশে যান, তাদের সাড়ে ৩ হাজার থেকে কমিয়ে এক হাজার ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'মাস্ক ব্যবহার খুবই জরুরী। মাস্ক ব্যবহারের মাধ্যমে সংক্রমণ কমানো সম্ভব। করোনা ছাড়া অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসায় চলতি মাসেই, বিভিন্ন হাসপাতাল নন কোভিড হিসেবে নির্ধারণ করা হবে।'
জাহিদ মালেক বলেন, 'মহামারি করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আনার বিষয়ে সব দেশের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। যে দেশে ভ্যাকসিন সাশ্রয়ী পাওয়া যাবে সে দেশ থেকেই দ্রুত আনা হবে।'
-এমএ