'বঙ্গমাতা চিরায়ত বাংলার প্রতিচ্ছবি'
Published : Sunday, 9 August, 2020 at 3:02 PM Count : 417
মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশি হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলাম বলেছেন, 'বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বঙ্গবন্ধুর সমগ্র জীবনে প্রেরণা ও সাহস দিয়েছেন। তিনি একদিকে সংসার ও সন্তানদের লালন পালন করেছেন অন্যদিকে স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামে প্রেরণা দিয়েছেন। স্বাধীনতার পর নির্যাতিত অসহায় নারীদের পুনর্বাসন করেছেন। তিনি চিরায়ত বাংলার প্রতিচ্ছবি এবং বাঙালির প্রেরণার উৎস।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার বিকেলে দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশন কার্যালয়ে অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা ও বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশি হাইকমিশনার বলেন, 'দেশের স্বার্থে বঙ্গবন্ধুকে অসংখ্যবার কারাবরণ করতে হয়েছে। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সেই কঠিন দিনগুলো ধৈর্য ও দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন। সেই উত্তাল দিনগুলোতে স্বামীর মুক্তির জন্য মামলা পরিচালনা এবং দলের সাংগঠনিক কাজে পরামর্শ ও সহযোগিতা দান সবই তাকে করতে হয়েছে। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অনুপ্রেরণায় বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দিয়েছেন। যা ছিল স্বাধীনতার ডাক এবং বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ।
তিনি বলেন, '১৯৭১ সালে পাকিস্তানে কারাবন্দি স্বামীর জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে গভীর অনিশ্চয়তা ও শঙ্কা, নিজে বন্দি এবং দুই ছেলে যুদ্ধের ময়দানে এমন কঠোর পরিস্থিতি তিনি মোকাবিলা করেছেন। আমাদের মুক্তির সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে তার অবদান চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।'
হাইকমিশনার বলেন, 'এমন মহিয়সী নারীকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কাল রাতে স্বামী, পুত্র, পুত্রবধূসহ নিজ বাসভবনে ঘাতক চক্রের হাতে নির্মম ভাবে শহীদ হতে হয়েছে। যা জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়।'
তিনি বলেন, 'বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছে। বিশেষ করে বর্তমানে নারীদের জীবনমানের অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে, যা বিশ্বে স্বীকৃত লাভ করেছে। বঙ্গমাতার জীবন ও কর্মের অনুপ্রেরণায় উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদেরকে নিঃস্বার্থ ভাবে আত্মনিয়োগ করতে হবে। তবেই তাকে স্মরণ করা ও শ্রদ্ধা জানানো স্বার্থক হবে। তিনি ইতিহাসের সঠিক চর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।'
বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সিলর (শ্রম-২) মো. হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডলের পরিচালনায় বাংলাদেশি হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলাম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
বঙ্গমাতার জম্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে ডিফেন্স অ্যাডভাইজার কমডোর মুশতাক আহমেদ ও ডেপুটি হাইকমিশনার ওয়াহিদা আহমেদ।
অনুষ্ঠানে আরও আলোচনা করেন লেবার কাউন্সেলর মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।
এ সময় বঙ্গমাতার জীবন সম্পর্কিত প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
-এএম/এমএ