সিরাজগঞ্জ শহরের দোকানপাট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা |
![]() সিরাজগঞ্জের শহর ব্যবসায়ী সমিতি অনির্দিষ্টকালের জন্য দোকানপাট বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অতিরিক্ত জরিমানা আদায়ের অভিযোগ তুলে এর প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা দোকানপাট বন্ধ রেখে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে এর মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত দোকানপাট বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জ শহর ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ। এ সময় অবৈধ ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম বন্ধ করার দাবি জানিয়ে শ্লোগান দেয়া হয়। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কিছু কিছু ব্যবসায়ীকে যে সমস্ত অভিযোগে জরিমানা করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা দিতে গেলেই ভ্রাম্যমাণ আদালত উল্টো জরিমানার অংক বাড়িয়ে দিচ্ছে। অথচ আমাদের দৃষ্টিতে এই অভিযোগগুলো কোন আইন বহির্ভূত কিংবা জরিমানার যোগ্য নয়। সিরাজগঞ্জ শহর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা জ্যোতি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে এমনিতেই আমাদের মত ব্যবসায়ীদের মন্দা সময় কাটছে, এর উপর প্রশাসনের এ ধরনের ভ্রাম্যমাণ আদালত দিয়ে তৎপরতা ব্যবসায়ীদেরকে পর্যদুস্ত করে তুলেছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, অহেতুক ও হয়রানিমূলক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হচ্ছে। তার মতে, এমন দোকানদারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে যার এ টাকা দেওয়ার সামর্থ্য নেই। এ সময় নিজের কাছে জরিমানার টাকা না থাকায় অন্য কোথাও থেকে সংগ্রহ করার চেষ্টা করলেও আদালত তাকে যেতে দেয়নি। সমিতির সভাপতি বলেন, প্রশাসনের বর্তমানের তৎপরতা আমাদের নীলকর সাহেবদের কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে। এটা প্রশাসনের হয়রানী ছাড়া আর কিছু নয়। প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু জরিমানার কারণ হতে হবে সুনির্দিষ্ট। যে কারণে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার দাবি জানান তিনি। এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন বলেন, একজন গ্রাহকের মাস্ক পরিহিত না থাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে জরিমানা করে। এ সময় একজন ব্যক্তি আদালতকে এ ব্যাপারে অনুরোধ করলে আদালত তা অগ্রাহ্য করে। তিনি আরও বলেন, আদালত নিজস্ব গতিতে চলে। আদালতের রায় অনেকের পক্ষে নাও যেতে পারে। দোকানদাররা দোকানপাট বন্ধ করে বিক্ষোভ মিছিল করছে বলে আমি শুনেছি। -এবি/এমএ |