সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বিপদসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার ওপরে
Published : Monday, 20 July, 2020 at 1:19 PM Count : 464
উজানে পানি কমতে থাকায় সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি ধীর গতিতে কমছে।
শনিবার থেকেই যমুনায় পানি বৃদ্ধির হার তুলনামূলক কিছুটা কম হলেও সোমবার সকাল ৯টায় পানি বিপদসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে সিরাজগঞ্জে বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে।
ভোগান্তি কমেনি বন্যা আক্রান্ত মানুষের। দ্বিতীয় দফা বন্যায় জেলার ৩৫টি ইউনিয়নের সোয়া দুই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তলিয়ে গেছে ৩টি ইউপি ভবন। জেলার দুই শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে। তলিয়ে গেছে সাড়ে ১৪ হাজার হেক্টর জমির ফসল। ডুবে গেছে ১ হাজার ৬১৯টি নলকূপ এবং ক্ষত্রিগ্রস্থ হয়েছে ১ হাজার ৫৯৬টি ল্যাট্রিন।
এদিকে, রোববার সন্ধ্যা থেকে হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় বাঁধে এবং উঁচু স্থানে আশ্রয় নেয়া মানুষের ভোগান্তি আরও বেড়ে যায়। বন্যা আক্রান্ত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি এবং ল্যাট্রিনের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পাউবোর পওর বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম রফিকুল ইসলাম জানান, শনিবার থেকে যমুনায় পানি কমছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি কিছুটা কমেছে। তবে দু-একদিনের মধ্যে স্থিতিশীলতায় চলে আসার পাশাপাশি ঈদের আগে যমুনায় তৃতীয় দফা পানি ফের
বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, সোমবার সকাল ৯টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার ও কাজিপুরে বিপদসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী তবিবুর রহমান জানান, দ্বিতীয় দফা বন্যায় ১ হাজার ৬১৯টি নলকূপ ডুবে গেছে এবং ক্ষত্রিগ্রস্ত হয়েছে ১ হাজার ৫৯৬টি ল্যাট্রিন।
তিনি আরও জানান, বন্যা মোকাবেলায় আমাদের সার্বিক প্রস্ততি রয়েছে। ইতোমধ্যে বন্যা উপদ্রুত এলাকায় ২৬ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ, ৩০টি নলকূপ ও ৮৩টি অস্থায়ী ল্যাট্রিন স্থাপন করা হয়েছে। বিশুদ্ধ পানি বহনের জন্য ৯৫টি জেরিকেন বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও সাড়ে ৪ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ৪শ’ নলকূপ ও প্রয়োজনীয় ল্যট্রিন স্থাপনের সরঞ্জাম মজুদ রয়েছে। যেখানে যেভাবে প্রয়োজন হবে আমরা সঙ্গে সঙ্গে তার ব্যবস্থা নেব।
জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ জানান, বন্যার সকল প্রস্ততি নেয়া হয়েছে। জেলায় ১৭৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ৩৩টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। সদরসহ বন্যা কবলিত উপজেলাগুলোতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে সেখান থেকে বন্যার সার্বিত বিষয় তদারকি করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, জেলায় দ্বিতীয় দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য পর্যাপ্ত সরকারি বরাদ্দ রয়েছে। ইতোমধ্যে ৩শ’ মেট্রিক টন চাল ও শিশুখাদ্য বাবদ ২ লাখ ও নগদ ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
-এবি/এমএ