বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার চায় তালতলীবাসী
Published : Wednesday, 1 July, 2020 at 12:01 PM Count : 427
বরগুনা জেলার সর্বশেষ উপজেলা তালতলী। ২০১০ সালের ০৬ মে আমতলী ভেঙ্গে তালতলীকে উপজেলা হিসাবে ঘোষণা করা হয়।
প্রতিষ্ঠার ১০ বছর পার হয়েছে। কিন্তু এখনো এ জনপদের মানুষ পূর্ণাঙ্গ উপজেলার স্বাদ পায়নি। পাচ্ছেন না বেঁচে থাকার মৌলিক চাহিদা।
রাষ্ট্রের উন্নয়ন উপভোগ করতে হলে তো সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকা প্রয়োজন। আর বেঁচে থাকতে হলে দরকার ভালো মানের চিকিৎসা সেবা। এ উপজেলার প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ ভালো মানের চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত।
একটি উপজেলায় ৩১ অথবা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল দরকার। উপজেলাটি সমুদ্রের তীরবর্তী হওয়ায় তলতলী প্রকৃতিক ভাবেই সমৃদ্ধ। এখানে রয়েছে. সৃজিত বন, আশার চরের শুটকি পল্লী, টেংরা গিরি ইকোপার্ক, শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত ও পিকনিক স্পট, রাখাইন পল্লী প্রভৃতি। এ উপজেলার বেশির ভাগ মানুষ জেলে ও কৃষক। উপজেলায় গড়ে প্রতিদিন শত শত পর্যটক ঘুরতে আসেন। সরকার কিছু মেগা প্রজেক্টও হাতে নিয়েছে এই এলাকা ঘীরে।
গুরুত্বপূর্ণ এ জনপদের মানুষদের জন্য ৫০ শয্যা হাসপাতাল এখন একান্ত প্রয়োজন। আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাব-সেন্টার ২০ শয্যা বিশিষ্ট তালতলী হাসপাতাল। ডেপুটেশনের ডাক্তার দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা। এই এলাকার উচ্চবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের চিকিৎসার একমাত্র ভরসা এই হাসপাতাল।
অথচ ৪ জন ডাক্তার দিয়ে কোন রকমে আউট ডোরে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ। হাসপাতালে ষ্টাফ ও যন্ত্রপাতির অভাবে কোন রোগী ভর্তি নেয়া হয় না। পরীক্ষা নিরীক্ষারও কোন ব্যবস্থা নেই।
এখানে যদি কোন মানুষ দুর্ঘটনার শিকার হন তাকে পার্শ্ববর্তী উপজেলায় গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে হয়। কখনো কখনো অন্য উপজেলায় যাওয়ার পথেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা সেবা পাওয়া সকল মানুষের মৌলিক অধিকার।
এ জনপদের সাবেক সংসদ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত চেষ্টার ফসল এ উপজেলা। এ উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী ৫ বার পা রেখেছেন। অথচ এ হাসপাতালে নেই কোন যন্ত্রপাতি নেই পরীক্ষা নিরীক্ষার কোন ব্যবস্থা, নেই এ্যাম্বুলেন্স।
৫০ শয্যা হাসপাতালের দাবিতে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান রেজবি-উল- কবিরসহ তালতলী উপজেলাবাসী বার বার মানববন্ধন করছেন।
উপজেলা চেয়ারম্যানও চেষ্টা করছেন সাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নের জন্য। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে তালতলীবাসীর প্রাণের দাবি হাসপাতালটিকে যেন ৫০ শয্যায় রুপান্তর করা হয়।
-এমএ