চাল আত্মসাতে বরখাস্ত একই ইউপির ৭ জনপ্রতিনিধি
Published : Wednesday, 20 May, 2020 at 9:11 PM Count : 358
ত্রাণ ও চাল আত্মসাতের অভিযোগে ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইনামুল হাসান ও একই ইউপির ৬ সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। আজ বুধবার স্থানীয় সরকার বিভাগ হতে এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হবার পর এ নিয়ে মোট ৬৬ জন জনপ্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। এদের মধ্যে ২১ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৪২ জন ইউপি সদস্য, একজন জেলা পরিষদ সদস্য এবং দুজন পৌর কাউন্সিলর।
সাময়িকভাবে বরখাস্তকৃত সদস্যরা হলেন—গোপালপুর ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ওবায়দুর রহমান, ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. বাকিয়ার রহমান, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ইব্রাহিম শেখ, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. রেজাউল করিম, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. অলিয়ার রহমান, এবং ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য স্বপ্না বেগম।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ফরিদপুর জেলার গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইনামুল হাসানের বিরুদ্ধে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম, চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাৎ, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর প্রদানের নামে অর্থ আদায়, এলজিএসপি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ এবং ইউপি ট্যাক্সের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। উল্লেখিত ৬ সদস্যের নামেও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাৎ, ভিজিডির চাল আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন। তাদের এই অপরাধ মূলক কার্যক্রমের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে। কাজেই স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী তাদের নিজস্ব পদ হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
একইসময় সাময়িকভাবে বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের পৃথক পৃথক কারণ দর্শানো নোটিশে কেন তাদেরকে চূড়ান্তভাবে তাদের পদ থেকে অপসারণ করা হবে না তার জবাব পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হয়।
এসআর