যেকোনো ভবনে এডিস মশার লার্ভা পেলেই শাস্তি: তাজুল ইসলাম
Published : Monday, 18 May, 2020 at 8:14 PM Count : 349
এডিস মশা নিধনে ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ওষুধ ছিটানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, ‘গণমাধ্যমে বিভিন্ন রকম প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তারপরও যারা এ বিষয়ে সচেতন হবেন না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকারি-বেসরকারি যেকোনো ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে জেল-জরিমানাসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সোমবার সচিবালয় স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ডেঙ্গু প্রতিরোধে আন্তঃমন্ত্রণালয় পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্বকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সভায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়রদ্বয় ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও মো. আতিকুল ইসলাম দায়িত্ব গ্রহণ করায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়।
মন্ত্রী বলেন, ‘৯৫% এডিস মশার জন্ম বাসাবাড়ি বা অফিসে। এডিস মশা নির্মূলে ব্যবস্থা নিতে ও নিয়ম মানতে জনগণকে বাধ্য করতে হবে।’
সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে যদি এডিস মশার জন্ম হয়, সেক্ষেত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাকে জরিমানা করা হবে; এ বিষয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ঢাকা উত্তরের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। মন্ত্রী বলেন, ‘দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের জরিমানা করা হবে বা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন খাল বা জলাধারগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে কি ব্যবস্থা নিয়েছে পরবর্তী সভায় তার প্রতিবেদন পেশ করতে হবে। এ ছাড়া দুই সিটি করপোরেশনে পার্শ্ববর্তী দেশের কলকাতা শহরের আদলে র্যাপিড একশন টিম গঠন করা হবে। এর মাধ্যমে ডেঙ্গু রোগী পাওয়ামাত্র তার বাসস্থান ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিশেষ মশক নিধন কার্যক্রম চালানো হবে।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন—প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
এসআর