বগুড়ায় করোনায় আত্রান্ত ৬১, সুস্থ ১০ |
![]() জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন জানান, গত ১ এপ্রিল থেকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে কোভড-১৯ এর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৭৭৬ জন। গত দেড় মাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা নমুনা পরীক্ষায় মানবদেহে কোভিড -১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা ৬১ জন হলেও তা এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় অনেক কম। তাছাড়া মোহাম্মদ আলী আইসোলেশন কেন্দ্রে থেকে ১০ জন করেনায় সুস্থ হয়ে ছাড় পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাবার পর শুক্রবার পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত আছে ৫১ জন। এর মধ্যে বগুড়া। মোহাম্মদ আলী হাসপাতলের আইসোলেশন কেন্দ্রে পজেটিভ রোগী ভর্তি আছে ১১ জন। তারাও সুস্থ হওয়ার পথে বলে জানান মোহাম্মদ আলী হাসপাতলের তত্ববধায় ডাঃ এ টি এম নুরুজ্জামান। অবশিষ্ট ৪০ জন পজেটিভ রোগী তাদের নিজ নিজ বাড়িতে হোম আইসোলেশন আছে। বগুড়া এখন কোন ব্যাক্তি হোম কোয়ারেন্টাইনে নেই করোনায় কোন মৃতুর ঘটনাও ঘটেনি। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিপনী বিতান, শপিং মল, শো-রুম খোলার অনুমোতি দেয় সরকার। কিন্ত নারী, শিশু, পুরুষ গত ১০ মে কাপড় চোপড় থেকে শুরু করে ঈদ কেনা কাটার জন্য হুমুড়ি খেয়ে পড়ে বিপনী বিতান গুলোতে। এর পরদিন ১১ জন ব্যক্তি করোনয় আক্রান্ত হয়ে পড়ে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে না চলার কারনে বগুড়া নিউমার্কেট বন্ধ ঘোষনা করে জেলা প্রশাসন। তবে ভীড় ছিলনা শহরের জলেশ্বরীতলার অর্ধ শতাধিক শো-রুমে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে ১০ মে থেকে সীমিত আকারের বিপনী বিতান খুলে দেয়ার দেয়ার ঘোষনা দেয়ার কথা থাকলেও অপ্রয়োজনীয় দোকান গুলো খুলে যায়। শহরের বেড়ে যায় বিভিন্ন যানবাহন চলাচল। শহর জুড়ে রাস্তায় রাস্তায় যানজ্ট তীব্র হয়েওঠে। স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ে বগুড়ার পরিবেশ। জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মমদ জানান, বিপনী বিতান গুলো স্বাস্থ্য বিধি মেনে চললে দোকান পাঠ খোলা যাবে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে নিউমার্কেটসহ বিপনী বিতান খুললে কোন আপত্তি নেই। সিএনজি-থ্রি-হুইলার চড়ে বিভিন্ন উপজেলা এলাকা থেকে এসে ভীড় বেড়ে যাওয়ায় বগুড়ার মানুষে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ দিকে নিউমার্কেট দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামীম সরকার জানান, তারা ঈদকে সামনে রেখে অনেক টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। দোকান খোলা না থাকেলে তাদের লেকসানে পড়তে হবে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা সম্পর্কে শামীম জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বল্লেও কেউ সে কথা শোনে না। এ/এসআর |