শিলা বৃষ্টিতে আদমদীঘিতে ইরি-বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি
Published : Thursday, 30 April, 2020 at 11:59 AM Count : 399
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর ইউনিয়নে আকস্মিক শিলা বৃষ্টিতে জমির উঠতি ইরি, বোরো ধানসহ সবজি ক্ষেতের ব্যাপক হয়েছে। এ এলাকার শত শত কৃষক উঠতি ফসল হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
বুধবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম আব্দুল্লাহ বিন রশিদসহ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন।
উপজেলা কৃষি বিভাগের হিসেব মতে, শুধু ধানের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১ কোটি টাকা।
সরজমিনে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে বৃষ্টির সময় হঠাৎ শিলা বৃষ্টি ও মাঝারি ধরনের ঝড়ো হাওয়া চাঁপাপুর ইউপি ও এর পার্শ্ববর্তী রানীনগর উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যায়।
হাউসপুর গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলাম জানান, শিলা বৃষ্টিতে চাঁপাপুর ইউপির বন্তইর, বরিয়াবার্তা, সতরবাড়িয়া, হাউসপুর গ্রামের মাঠের ফসল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, এসব গ্রামের অধিকাংশ কৃষক জমি থেকে ধান ঘরে তুলতে পারবেন না। এসব কৃষকের জমির ধান শিলা বৃষ্টিতে ঝড়ে পরে গেছে। ৭ বিঘা জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষ করেছি। শিলা বৃষ্টিতে ৭০ ভাগ ধানই ঝড়ে পরে গেছে।
একই গ্রামের আরও কয়েকজন কষক বলেন, এলাকার মাঠে ৮০ ভাগ ধান পেকেছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে কৃষি শ্রমিকের অভাবে তারা ধান কাটা শুরু করতে পারেননি।
উপজেলা কৃষি বিভাগের চাঁপাপুর ব্লকের মাঠকর্মী আব্দুস সাত্তার বলেন, মঙ্গলবারের শিলা বৃষ্টিতে চাঁপাপুর ইউপির ক্ষতিগ্রস্থ মাঠ পরিদর্শন করা হয়েছে। ১শ ৩০ হেক্টর জমির ইরি-বোরো ধানক্ষেত ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এর মধ্যে প্রায় ৩০ হেক্টর জমির ধান সম্পূর্ণ ঝড়ে পড়েছে। ১শ হেক্টর জমির ধানের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। এ হিসেবে প্রায় ১২/১৫ হাজার মণ ধান কৃষকরা ঘরে তুলতে পারবেন না। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১ কোটি টাকা।
তিনি আরও বলেন, প্রায় ৩০ হেক্টর জমির সবজির ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে ১০ হেক্টর জমির সম্পূর্ণ এবং ২০ হেক্টর জমির সবজি ক্ষেত আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মিঠু চন্দ্র অধিকারী বলেন, শিলা বৃষ্টিতে যে পরিমাণ ধানের ক্ষতি হয়েছে তাতে উপজেলায় ইরি ধান উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রায় প্রভাব পড়বে না। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উপজেলায় এবার ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আসা করছি।
-এমএ