For English Version
বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
হোম

ঝুঁকিতে হাকিমপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মীরা

Published : Monday, 6 April, 2020 at 12:48 PM Count : 384

করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সীমান্তবর্তী দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারি ভাবে নিরাপত্তামূলক সামগ্রীর পিপিই বরাদ্দ এলেও এখনো তা বিতরণ করা হয়নি। 

ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরতরা। এতে অনেকেই শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে দেখা যায়, ৮-১০ জন নার্স মাস্ক ব্যবহার করলেও তাদের পিপিই নেই। নার্সের স্বাভাবিক পোশাকেই দায়িত্ব পালন করছেন তারা। ২-৩ জনের হাতে গ্লাভস দেখা গেছে। আয়া, ওয়ার্ড বয় ও অন্যদেরও একই অবস্থা। তারাও পিপিই ছাড়াই কাজ করছেন।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট প্রধীপ কুমার শীল জানান, আমি মাস্ক ও গ্লাভস পেয়েছি। ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা-নীরিক্ষা করতে হচ্ছে। পিপিই ছাড়াই কাজ করতে হচ্ছে।
জুনিয়র নার্সদের মধ্যে কয়েকজন জানান, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর কি আমরা পিপিই পাবো। তাহলে আমাদের পিপিই নিয়ে কি লাভ। আক্রান্তের আগেই আমাদের পিপিই দেওয়া হোক। আমাদের একটা গ্লাভস দেওয়া হয়েছে। একটা গ্লাভস তো আর প্রতিদিন ব্যবহার করা যাবে না। সার্জিক্যাল মাস্কও দেওয়া হয়নি। আমরা অনেকেই নিজের টাকায় বাজার থেকে মাস্ক কিনে ব্যবহার করছি।

নার্সিং সুপারভাইজার নির্মলা কিসপট্টা জানান, আমি নার্সদের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা স্যারের কাছে গিয়ে বলেছি আমাদের স্বাস্থ্য কর্মীদের পিপিই, মাস্ক, গ্লাভস  দেওয়ার জন্য। উনি আমাদের মাস্ক, গ্লাভস দিয়েছেন। পিপিই সল্পতার জন্য তিনি দিতে পারেননি। আমাদের দায়িত্ব রোগীদের সেবা করার। আমাদের মধ্যে আতঙ্ক থাকলেও করোনা ভাইরাসের রোগীসহ যেকোন রোগীদের সেবা দিতে আমরা নিজেদের সেই ভাবে প্রস্তুত করে নিয়েছি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. তৌহিদ আল হাসান জানান, সরকারি ভাবে ৫০টির মত পিপিই, মাস্ক ও গ্লাভস পেয়েছি। আমাদের কাছে নির্দেশনা আছে কেউ যদি করোনা ভাইরাসে শনাক্ত হয়ে থাকেন এবং সেই রোগীর সংস্পর্শে কোন চিকিৎসক, নার্স বা কেউ চিকিৎসা দিতে যান, তাহলে শুধুমাত্র তারাই পিপিই ব্যবহার করবেন। কিন্তু সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে শুধু সার্জিক্যাল মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভসই যথেষ্ট। জনবলের চেয়ে পরিমাণে কম বরাদ্দ পাওয়া গেছে। তাই এই নির্দেশনা মত কাজ করা হচ্ছে।

উপজেলা নিবাহী অফিসার রাফিউল আলম জানান, পরিষদের পক্ষ থেকেও ২০টি পিপিই প্রদান করা হয়েছে।

-জিএমআরএম/এমএ

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,   [ABOUT US]     [CONTACT US]   [AD RATE]   Developed & Maintenance by i2soft