রাজশাহীতে বাগানজুড়ে আমের কুঁড়ি
Published : Thursday, 2 April, 2020 at 6:07 PM Count : 298
রাজশাহীর পুঠিয়ায় চলতি বছর স্থানীয় চাষিদের সঠিক তদারকি করায় আমবাগানগুলোতে ব্যাপক হারে কুঁড়ি এসেছে। তারা আশা করছেন, অনুকুল আবহাওয়া বিরাজ করলে গত বছরের চেয়ে এ বছর আমের বাম্পার ফলন হবে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, পুঠিয়া উপজেলায় নতুন ও পুরাতন মিলে প্রায় সাড়ে ৮শ’ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ২০ হেক্টর বেশী জমি। বৈরি আবহাওয়ার কারণে গত মৌসুমে এই এলাকায় আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল সাড়ে ৪ হাজার মে.টন। এবং উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৪ হাজার মে. টন আম।
এ বছর বেশীর ভাগবাগানগুলোতে আমের মুকুল এসেছে। চাষিদের সঠিক সময়ে তদারকি থাকায় আমের কুঁড়িও ধরেছে অনেক বেশী। তবে অনুকুল আবহাওয়া বিরাজ করলে প্রায় ৭ হাজার মে. টন আম উৎপাদন সম্ভব।
উপজেলার বিভিন্ন আম বাগান ঘুরে দেখা গেছে, বিগত বছরের তুলনায় এ বছর আমের রেকর্ড পরিমান কুড়ি এসেছে। এর মধ্যে লখনা, আম্রপলি, খিরসাপাত ও ল্যাংড়া জাতীয় আমের কুড়ি বেশী দেখা যাচ্ছে। এছাড়া ফজলি, আশ্বিনী, গোপালভোগ, দুধস্বর, কালুয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতি আম গাছ জুড়েও রয়েছে অনেক কুঁড়ি।
উপজেলার শাহবাজপুর এলাকার আমচাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, চাষিরা সময়মত তদারকি করায় বিগত বছরের চেয়ে এবার বাগানগুলোতে বেশী পরিমাণ আমের কুঁড়ি এসেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ নেমে না আসলে আমের বাম্পার ফলন হবে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসে পরামর্শ নিতে আসা বিড়ালদহ এলাকার আমচাষি সমেজ উদ্দীন বলেন, বেশীর ভাগ আমবাগানগুলোতে পরিচর্যা না করায় প্রতিবছর পর্যাপ্ত আম আসে না। আর সঠিক নিয়মে পরিচর্যা করা বাগানগুলোতে প্রতিবছরই আম ধরে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামসুনাহার ভূঁইয়া বলেন, চাষিরা আগের চেয়ে এখন অনেক বেশী সচেতন। তারা মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পরামর্শে গত বছর আম ভাঙ্গার পর থেকে বাগানগুলোতে সঠিক সময় পরিচর্যা করেছেন। এতে করে ওই বাগানগুলোতে মুকুল ও আমের কুঁড়ির পরিমাণ অনেক বেশী। আশা করা হচ্ছে অনুকুল আবহাওয়া বিরাজ করলে গত বছরের চেয়ে বাম্পার ফলন হবে।
আরএইচএফ/এসআর