অন্যকে ফাঁসাতে ৫ হাজার টাকায় খুন করিয়ে নেয় ছেলে
Published : Monday, 30 March, 2020 at 9:29 PM Count : 325
জয়পুরহাট সদরের আমদই ইউনিয়নের সুন্দরপুর নয়াপাড়া গ্রামের ভ্যান চালক আব্দুল জলিলকে নির্মম ভাবে গলাকেটে হত্যা কান্ডের ঘটনায় দু’দিনেই রহস্য উদঘাটন করলো পুলিশ।
জমি নেওয়া সংক্রান্ত ঘটনায় প্রতিবেশী মোজাম হাজী নামে এক ব্যক্তিকে ফাঁসাতে নিজের ছেলে মাহবুব ৫ হাজার টাকার চুক্তিতে পিতা আব্দুল জলিলকে খুন করিয়ে নেয় বলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে প্রতিবেশী বাবু মন্ডল। এই সুপরিকল্পিত খুনের সঙ্গে জড়িদের নামও বলেন বাবু মন্ডল।
সোমবার বিকালে জয়পুরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্ট গোলাম মাহফুজের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বিকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় বাবু মন্ডল। এ ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ বলে জানায়, জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহরিয়ার হক। বাবু মন্ডল ছাড়া গ্রেফতারকৃত অন্য আসামীরা হলো ছেলে মাহবুব, ভাতিজা মিজানুর এবং অপর প্রতিবেশী দুলাল ও লিটন।
জেলা সদরের আমদই ইউনিয়নের তুলশীগঙ্গা নদীর ত্রিমোহনী ব্রীজের উত্তর পাশ থেকে ২৮ মার্চ সন্ধ্যার আগে আব্দুল জলিল নামে এক ভ্যান চালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আমদই ইউনিয়নের সুন্দরপুর নয়াপাড়া এলাকার ময়েন উদ্দিনের ছেলে ভ্যান চালক আব্দুল জলিল (৪৬) শুক্রবার বাড়ি থেকে ভ্যান নিয়ে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরে নাই। অনেক খোঁজাখুজির পর বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে তুলশীগঙ্গা নদীর ত্রিমোহনী ব্রীজের উত্তর পাশে চাবি দেওয়া অবস্থায় একটি ভ্যান পড়ে থাকতে দেখা যায়। এর একটু দূরত্বে নদীর কিনারে আব্দুল জলিলের জবাই করা মরদেহ পাওয়া যায়। স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ আব্দুল জলিলের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে পারিবারিক যোগসূত্র রয়েছে এমন ধারনায় অনুসন্ধান চালায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মিজানুর রহমান। এ ঘটনায় ছেলে মাহবুবকে আটক করার পর তার দেওয়া তথ্য মতে প্রতিবেশী বাবু মন্ডলকে আটক করে পুলিশ। বাবু মন্ডল জবাই করে হত্যার কথা স্বীকার করে। এ খুনের ঘটনায় সহযোগিতা করে ছেলে মাহবুব ছাড়াও ভাতিজা মিজানুর এবং অপর প্রতিবেশী দুলাল ও লিটন।
ভ্যান চালক আব্দুল জলিলকে নির্মম ভাবে খুনের ঘটনায় অজ্ঞাত আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিল স্ত্রী সালেহা বেগম। ওই হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান, জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহরিয়ার হক। আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।
এসআইএস/এসআর