সংগীতশিল্পী মিলার জামিন
Published : Wednesday, 11 March, 2020 at 2:16 PM Count : 466
সাবেক স্বামীর করা মামলায় জামিন পেয়েছেন সংগীতশিল্পী তাশবিহা বিনতে শহীদ ওরফে মিলা। এছাড়া তার বাবা শহীদুল ইসলামও আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন।
বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটনের ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে আত্মসমর্পণ করে তারা জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
বিয়ের তথ্য গোপন করে প্রতারণার অভিযোগে গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর একই আদালতে মিলার সাবেক স্বামী এস এম পারভেজ সানজারী এ মামলা করেন। বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের পর অভিযোগ তদন্তে পল্লবী থানাকে নির্দেশ দেন আদালত।
এরপর পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জহিরুল ইসলাম তদন্তের পর মিলা ও তার বাবার বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম তাদের হাজির হতে সমন জারি করেন। সমনের পরিপ্রেক্ষিতেই তারা বুধবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান বলেও জানান মিলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট এমএইচ তানভীর।
মামলায় বাদির অভিযোগ, ২০১৭ সালের ১২ মে মিলাকে তিনি বিয়ে করেন। বিয়ের পর বুঝতে পারেন, মিলা বদমেজাজী, অহংকারী, নেশাগ্রস্ত ও অনৈতিক চরিত্রের অধিকারী। এ কারণে তাদের দাম্পত্যকলহ শুরু হয়। সেই সুযোগে মিলা ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর যৌতুক আইনে বাদির বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা করেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ওই মামলায় বাদি গ্রেফতার হয়ে জামিন পাওয়ার পর ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি মিলাকে তালাক দেন। তালাক হওয়ার পর মিলা বাদির বাসায় অনধিকার প্রবেশ করে একটি কম্পিউটার ও একটি মোবাইল নিয়ে যান। এছাড়া বাদির মোটরবাইকে জিপিএস ট্র্যাকার স্থাপন করে বাদিকে উত্ত্যক্ত ও অপমান করতে থাকেন। পরে বাদিকে হত্যার জন্য ২০১৯ সালের ২ জুন এসিড নিক্ষেপ করেন।
ওই ঘটনায় বাদি একটি মামলা করেছেন। পরে বাদি জানতে পারেন, তার সাবেক স্ত্রী মিলা ২০০২ সালের ৩১ জুলাই অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ কে এম নুরুল হুদার ছেলে আবির আহম্মেদকে বিয়ে করেছিলেন। মিলা ও তার বাবা শহীদুল ইসলাম ওই বিয়ের তথ্য গোপন করে তার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। এছাড়া প্রথম বিয়েতে জন্ম তারিখ ১৯৮৪ সালের ২৬ মার্চ উল্লেখ করলেও বাদির সঙ্গে বিয়ের সময় ১৯৮৫ সালের ২৬ মার্চ উল্লেখ করেন।
পারভেজ সানজারীকে এসিড নিক্ষেপের মামলায় মিলা ও তার পিএস কিমকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় কিম গ্রেফতার হয়ে জেলে আছেন। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে মিলাকে অব্যাহতি দিয়ে শুধু কিমের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছেন। সেখানে বাদি নারাজি দাখিল করেছেন।
আর বাদির বিরুদ্ধে মিলার দায়ের করা মামলা বর্তমান সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে। একটি বেসরকারি এয়ারলাইন্সের পাইলট পারভেজ সানজারির সঙ্গে মিলার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে ২০১৭ সালের ১২ মে তারা বিয়ে করেন।
-এমএ