আইনমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি সুপ্রিম কোর্ট বারের
Published : Wednesday, 4 March, 2020 at 5:12 PM Count : 467
বিচারক বদলি এবং পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল এবং তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের জামিনের ঘটনায় দুদকের চেয়ারম্যান এবং আইনমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন।
বুধবার দুপুরে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ সফিউর রহমান মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
ওই ঘটনায় আইন মন্ত্রণালায়ের তিন সচিবের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
খোকন বলেন, 'আইমন্ত্রী নগ্ন হস্তক্ষেপ করে পিরোজপুরের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়াল ও তার স্ত্রীর প্রথমে জামিন নামঞ্জুর এবং পরে জামিন দেয়ার ঘটনায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের পদত্যাগ দাবি করেছেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক।'
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আদালত জামিন বাতিলের আদেশের সঙ্গে সঙ্গেই আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে (বিচারক মো. আবদুল মান্নান) পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজের পদ থেকে প্রত্যাহার করে (স্ট্যান্ড রিলিজ) আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়। পরে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ নাহিদ নাসরিনকে ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজের দায়িত্ব দেয়া হয়। দায়িত্ব দেয়ার পর তিনি এ দু’জনকে জামিন দেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, গতকালের এ ঘটনা স্বাধীন বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপের শামিল। আইনমন্ত্রী অযাচিতভাবে সাবেক এমপির জামিন নিশ্চিত করার জন্য পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজকে বদলি করেন। উক্ত জামিন কেলেঙ্কারি দেশের সাধারণ জনগণের বিচার বিভাগের উপর আস্থা নষ্ট করেছে এবং বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আইন সচিব, যুগ্ম সচিব ও জামিন প্রদানকারী বিচারককে দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের দাবি জানাচ্ছি।
মঙ্গলবার পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ মো. আবদুল মান্নানের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় পিরোজপুর-১ (নাজিরপুর, পিরোজপুর সদর ও নেছারাবাদ) আসনের সাবেক এমপি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল ও তার স্ত্রী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী লায়লা পারভীনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এ আদেশের পর জেলা দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নানকে স্ট্যান্ড রিলিজ দেয়া হয়। পরে আবদুল মান্নান তার দায়িত্ব যুগ্ম জেলা দায়রা জজ নাহিদ নাসরিনকে বুঝিয়ে দেন। পরে ভারপ্রাপ্ত দায়রা জজ নাহিদ নাসরিন তার ক্ষমতাবলে এ কে এম এ আউয়াল ও তার স্ত্রীর জামিন দেন।
-এমএ