মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় তৃতীয় হওয়া সেই সজিবের আত্মহত্যার চেষ্টা
Published : Sunday, 16 February, 2020 at 8:04 PM Count : 376
মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় ২০১৮ সালের জাতীয় মেধা তালিকায় তৃতীয় স্থান অর্জন করা সজীব চন্দ্র রায় (২১) আত্মহত্যার চেষ্টা করে এখন হাসপাতালে।
সায়দেবাদের একটি আবাসিক হোটেল থেকে উদ্ধার করে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। বর্তমানে তাকে ঢামেকের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সজীব ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
ঢামেক ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া জানান, ঢামেকের ফজলে রাব্বী হলের ৩০৫ নম্বর রুমে থাকত সজীব। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় হল থেকে বের হয়ে যায় সে। সায়দেবাদের ছায়ানিড় হোটেলের তৃতীয় তলার একটি রুম থেকে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল সজিব।
সজীবের সহপাঠিরা বলছেন, বেশ কয়েকদিন ধরে সে ডিপ্রেশনে (বিষণ্ণতায়) ভুগছিল।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার এক দরীদ্র কাঠুরের ছেলে সজীব ২০১৮ সালে সমন্বিত মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় তৃতীয় হয়ে সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। তার বাবা মনোধর চন্দ্র রায় সংসারের ভরণ-পোষণ নির্বাহের জন্য এক সময় রিকশা ভ্যানও চালান। পরে ছেলের লেখাপড়ার খরচ জোগাতে সেই রিকশা ভ্যান বিক্রি করে দিয়ে বর্তমানে কাঠুরিয়ার কাজ করেন।
বাড়ির পাশের কাঠগড় আদিবাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষায় গোটা বীরগঞ্জ উপজেলার মধ্যে সজীব প্রথম হন। পরে স্থানীয় গোলাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৩ সালে জেএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ সহ ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পান। একই বিদ্যালয় থেকে ২০১৬ সালে এসএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ এর কৃতিত্ব অর্জন করে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পান।