সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস উইং সচিব ফখরুল ইসলাম বলেছেন, 'বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের বাঙালিরা সৌদি প্রবাসীদের সম্পর্কে জানতে পারছেন আপনাদের মাধ্যমে। সাংবাদিকদের বিশাল একটি ভূমিকা রয়েছে প্রবাসীদের জীবনে, বাংলাদেশের সমাজে ও অর্থনীতিতে।'
শুক্রবার দেশটির রাজধানী রিয়াদের নিকটবর্তী আল-খারজ শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশি সাংবাদিকদের মিলন মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এক্সপেট্রিয়েট ডিজিটাল সেন্টার (ইডিসি) ও ঢাকা মেডিকেল সেন্টারের সহযোগিতায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল বাংলা শাখা পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'হাসি'র প্রতিষ্ঠাতা মোছলেহ উদ্দীন মুন্না।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাষ্ট্রদূতের একান্ত সচিব আল আমিন, ইসমাইল হোসেন, আল-খারজের ব্যবসায়ী জিয়াউদ্দিন বাবলু ও আরশাদ আলী।
সাংবাদিকদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন, প্রবাস বাংলা সম্পাদক ও একুশে টিভি সৌদি প্রতিনিধি অহিদুল ইসলাম; স্বপ্নের বাংলাদেশ সম্পাদক ও আরটিভি ব্যুরো প্রধান আবুল বশির; এনটিভি প্রতিনিধি প্রধান ফারুক আহমেদ চান; বর্তমানকন্ঠের সম্পাদক, ডেইলি অবজারভার ও ডিবিসি নিউজ প্রতিনিধি সাগর চৌধুরী; আরটিভি রিয়াদ প্রতিনিধি সোহরাব হোসেন লিটন; এসএ টিভি প্রতিনিধি শাহপরান মিঠু; সাপ্তাহিক পাঠক সংবাদ সম্পাদক ও ৫২বাংলা টিভি প্রতিনিধি ইকবাল হোসেন; মোহনা টিভি প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম হৃদয়; জাগো নিউজ২৪ ও মাইটিভি প্রতিনিধি আব্দুল হালিম নিহন; যমুনা টিভি প্রতিনিধি সেলিম উদ্দিন; বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ২৪ প্রতিনিধি মোহাম্মদ আল আমিন; সময় টিভি প্রতিনিধি আরিফুর রহমান; বাংলা টিভির ফকির আল আমিন; চ্যানেল এস এর লিয়াকত; পল্লী টিভির আবুল কালাম আজাদ তালুকদার লিটন; এনটিভি রিয়াদ প্রতিনিধি জুয়েল ফকিরসহ আরও অনেকে।
দূতাবাসের প্রেস উইং সচিব ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, 'এখানে অনেকেই বিচ্ছিন্ন ভাবে সাংবাদিকতা করে যাচ্ছেন। কিন্তু আপনারা যারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে রয়েছেন তারা যদি একই প্লাটফর্মে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে পারেন, তাহলে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় হবে এবং সামাজিক মর্যাদা অনেক বৃদ্ধি পাবে।'
সাংবাদিক অহিদুল ইসলাম সৌদি আরবে ৩০ বছরের সাংবাদিকতার ইতিহাস এবং রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রেস উইং প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর অবদানের কথা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
এই ইতিহাসকে স্মরণীয় করে রাখতে একটি প্রকাশনা বের করার আহ্বান জানান প্রেস উইং সচিব।
বাংলা স্কুলের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ বলেন, 'তিনি যতদিন স্কুল বোর্ডে রয়েছেন ততদিন সাংবাদিকদের জন্য স্কুলের দরজা সবসময় খোলা থাকবে।' সংবাদ সংক্রান্ত যেকোন সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
এই প্রথম দিনব্যাপি অনুষ্ঠানমালায় ছিল পুরুষদের জন্য প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, হাড়িভাঙ্গা, বাচ্চাদের দৌঁড়, মহিলাদের বালিশ খেলা। প্রতিযোগিতায় অংশ নেন সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।
শুরুতে ১০ রিয়াল মূল্যের বিশেষ কুপন বিক্রয় করা হয়। দিনের শেষে র্যাফেল ড্র এর মাধ্যমে ৮ জন বিজয়ীর হাতে আকর্ষণীয় পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিরা।
প্রথম পুরষ্কার ছিল ৩২ ইঞ্চি এলইডি টেলিভিশন, দ্বিতীয় মাইক্রোওয়েভ ওভেন, তৃতীয় সিরামিক ডিনার সেট। সকল শিশুদের জন্য ছিল সান্ত্বনা পুরষ্কার।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন, অহিদুল ইসলাম, বাবুল চৌধুরী, জামসেদ রানা ও রফিক মন্ডল।
-এসসি/এমএ