খালেদার মুক্তিতে বিএনপির পক্ষ থেকে এখনও কোন দাবি করা হয়নি : তথ্যমন্ত্রী
Published : Thursday, 13 February, 2020 at 5:17 PM Count : 411
বিএনপি চেয়ারপারসন খারেদা জিয়া কারা মুক্তির জন্য দলটির পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন দাবি করা হয়নি বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার বিশ্ব বেতার দিবস-২০২০ উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার আয়োজিত র্যালি উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘খালেদা জিয়ার পরিবার তার মুক্তি চায়। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনও দাবি এখনও পর্যন্ত উপস্থাপন করা হয়নি। এমনকি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি এ সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে জানান।’
তিনি বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে সব সময় খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য সমস্যাকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করা হয়। নিয়মিত তার (খালেদা) স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাকে দেখেন।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে কারাগারে না রেখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তাকে তার পছন্দের গৃহ পরিচারিকাকে সঙ্গে রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এটা শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসে নয়, সমগ্র ভারত উপমহাদেশে এ ধরনের কোনও নজির রয়েছে কিনা, আমার জানা নেই।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার যেসব শারীরিক সমস্যা রয়েছে, তা অনেক পুরনো সমস্যা। এসব সমস্যা নিয়েই তিনি দুইবার প্রধানমন্ত্রী এবং দুইবার বিরোধী দলের নেতার দায়িত্ব পালন করেছেন। বিভিন্ন সময়ে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে সব সময় তার স্বাস্থ্য সমস্যাকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করা হয়। এখন যে কথাগুলো বলা হচ্ছে, তা ওই অপচেষ্টারই ধারাবাহিকতা। তিনি দেশে দুইবারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং একটি বৃহৎ দলের নেত্রী। তাকে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দিতে সরকার আন্তরিক।’
এ সময় তথ্য সচিব কামরুন নাহার ও বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক হোসনে আরা তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।
বেতার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে বেতার হচ্ছে এমন একটি গণমাধ্যম, যা প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে। বঙ্গোপসাগরে মাঝি-মাল্লারা বেতারের মাধ্যমে দুর্যোগ-দুর্বিপাকের বার্তা পায়। এছাড়া, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশ বেতার। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসজুড়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণার কেন্দ্রবিন্দু। স্বাধীন বাংলা বেতারের গান, খবর ও অনুষ্ঠানমালা শুনে তারা উজ্জীবিত হতেন। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন বাংলাদেশ বেতারের ইতিহাস স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’ বাসস
এসআর