For English Version
বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
হোম

অবৈধ দখলে হারিয়ে যাচ্ছে খাল

Published : Wednesday, 12 February, 2020 at 2:32 PM Count : 417

সারাদেশে যখন নদী, খাল দখলের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে এমন সময় বরগুনার তালতলী উপজেলার কচুপাত্রা বাজারের খাল দখলের মহোৎসব চলছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শারিকখালী ইউনিয়নের কচুপাত্রা বাজারে প্রতি রোববার হাট বসে এবং প্রধানমন্ত্রীর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও থেমে নেই খাল ও জলাশয় দখল। কোথাও প্রভাবশালীরা, আবার কোথাও রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় সাধারণ মানুষ, মুদি দোকানের মালিকরা বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করছেন। খালের দুই পাড়ে স্থাপনা নির্মাণ করার ফলে একদিকে যেমন খাল সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে অন্যদিকে খালের নব্যতা কমে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এক সময় খাল দিয়ে নৌকায় মানুষ মালামাল নিয়ে যাতায়াত করতো ধীরে ধীরে তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, মোটা অংকের টাকার বিনিময় প্রশাসন খালটিকে গিলে খাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।বৃষ্টির দিন এলে চরম দুর্ভোগে বসবাস করে সাধারণ মানুষ। খালের দুই পাড় দখল করার কারণে পয়ঃনিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেই। বিভিন্ন বাসা-বাড়ির ময়লা আর্বজনা খালে ফেলা হয়। খালটি দখল করায় যেটুকু অংশ বাকি আছে তাও ময়লায় ভরপুর। এই ময়লা পানি দিয়ে আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে হয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সংগঠক হাসান ঝন্টু বলেন, 'সরকারি খাল বা নদীর পাশে কোন অবৈধ স্থাপনা করার সুযোগ নেই। অবৈধ স্থাপনা যদি কেউ দখল করার চেষ্টা করে তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনের উচিৎ উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে দখলমুক্ত করা।'
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কৃষক বলেন, 'কচুপাত্রা খালের পাড়ে যে হারে অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠছে এক সময় রাস্তার দুই পাশের খাল দুটি ভরাট হয়ে যেতে পারে। আমরা কৃষকরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হবো। বন্ধ হয়ে যাবে আমাদের ফসল উৎপাদন। এক সময় গোটা এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে আনা হলেও এখনও কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।'

পরিবেশ আন্দোলনের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুশফিক আরিফ বলেন, 'অবৈধ স্থাপনা দিয়ে ব্যক্তিগত ভাবে কেউ খাল দখলে নিতে পারবে না। খাল কিংবা জলাশয়ের জমি কেউ দখল করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।অবৈধ জমি দখলের কারণে এক সময় পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।'

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কাওসার হোসেন মুঠোফোনে জানান, অবৈধ স্থাপনার লিস্ট তৈরি করে ডিসি অফিসে পাঠানো  হয়েছে। ডিসি অফিস থেকে পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

-এমএ

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,   [ABOUT US]     [CONTACT US]   [AD RATE]   Developed & Maintenance by i2soft