প্রথমবারের মতো সড়কে ব্যবহৃত হচ্ছে রেডিয়েন্ট লাইট
Published : Tuesday, 11 February, 2020 at 3:12 PM Count : 509
লক্ষ্মীপুর-রামগঞ্জ ১৯ কিলোমিটার সড়কে বাংলাদেশের প্রথমবারের মতো ব্যবহৃত হচ্ছে রিফ্লেক্টিভ প্রযুক্তির রেডিয়েন্ট লাইট। সড়কটি নির্মিত হলে সড়ক দুর্ঘটনা রোধের পাশাপাশি সুফল পাবে এই সড়কে চলাচলকারী লক্ষাধিক সাধারণ মানুষ। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় ও টেকসই উন্নয়নে এই সড়কটি মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর শহরের বাগবাড়ি থেকে রামগঞ্জ জোড়া কবরস্থান পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার হাইওয়ে সড়কটি ‘সড়ক ও জনপদ বিভাগের’ অর্থায়নে প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। সড়কটি নির্মাণে আধুনিক মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো. কাউছার জানান, হাইওয়ে সড়কটিতে থাকছে আধুনিক রেডিয়েন্ট লাইট। যা সড়কটিকে দৃষ্টিনন্দনের পাশাপাশি রাতের বেলায় চালকদের পথ নির্দেশনা দেবে। কাজটি সার্বক্ষণিক ভাবে উপ-বিভাগীয় এবং বিভাগীয় পরিদর্শন ছাড়াও সার্কেল অফিস, জোন অফিস এবং সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় মনিটরিং করছে। তাছাড়া ব্যবহৃত মালামাল নিজস্ব ল্যাবরেটরি ছাড়াও কুমিল্লা সার্কেল ল্যাবরেটরি দ্বারা যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।
কাজটির গুণগত মান বজায় রাখতে অ্যাস ফল্ট মিক্সিং প্লান্ট, ডিজিটাল পেডার মেশিন, মোটর গ্রেডার, এক্সকেউটর টেনডম রোলার, নিউমেট্রিক টায়ার রোলার, ড্রাস ট্রাক ব্যবহার করা হয়। আগামী মার্চের মধ্যে কাজটি শেষ করার কথা। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। আশা করি নিদির্ষ্ট সময়ের আগেই কাজটি বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. শামীম জানান, এ সড়কটি নির্মাণে সওজ বিভাগের নির্ধারিত নিয়মানুযায়ী যথাযথ মান বজায় রেখে কাজ করা হচ্ছে। এতে উন্নতমানের ব্লাকস্টন/এলসি পাথর, ৬০/৭০ গ্রেডের বাংলাসহ উন্নতমানের সব সমগ্রীই ব্যবহার করা হচ্ছে। তাছাড়া সড়কটিতে উন্নতমানের রিফ্লেক্টিভ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। এতে এ অঞ্চলের মানুষই বেশি উপকৃত হবে।
উত্তর হামছাদী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আবদুল মালেকসহ স্থানীয় কয়েকজন জানান, জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি লক্ষ্মীপুর টু রামগঞ্জ হাইওয়ে সড়কটি গুণগত মান বজায় রেখে কাজ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সড়কটি নির্মাণ হলে এ অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার বাণিজ্যিক ভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর হবে।
ট্রাক চালক রহিম, শামছুল হুদা ও সিএনজি চালক ফরহাদ জানান, এ সড়কটি খুবই ঝুকিপূর্ণ ছিলো। যাতায়াতে প্রতি মুহুর্তেই ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সড়কটির উন্নয়ন কাজ শুরু হওয়ায় খুশি আমরা। এতে মালামাল নিয়ে যাতায়াতে সুবিধা হবে। তাছাড়া রেডিয়েন্ট লাইট ব্যবহার করা হলে খুবই ভাল হবে। সড়কে দুর্ঘটনাও কমে যাবে।
লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত দত্ত জানান, আধুনিক মানের হাইওয়ে সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। সার্বক্ষণিক ভাবে অধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজটি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আশা করি সড়কটির কাজ শেষ হলে মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ব্যবসা বাণিজ্য আরও সচল হবে।
-আরআইকে/এমএ